খাগড়াছড়ি: দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ১৫ বছরের এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ ঠেকালো প্রশাসন। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র রায় আজ বিকেল আড়াই ঘটিকার দিকে এই বিয়ে ঠেকান।
এ সময় দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীর অমতে বিয়ের আয়োজন করায় তার বাবা কামাল হোসেনকে ১০ হাজার এবং বরের পিতা হারুন সওদাগরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না মর্মে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়।
এছাড়া, ১৮ বছরের আগে মেয়েটিকে যেন বিয়ে দিতে না পারে তার জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটিও করে দেন ইউএনও। কমিটিতে স্থানীয় মসজিদ পরিচালনা পরিষদের সভাপতিকে আহ্বায়ক করা হয়।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান খাগড়াছড়ি শহরের উত্তর গঞ্জপাড়া এলাকায় দশম শ্রেণির ছাত্রীকে, অত্যন্ত গোপনে জোরপূর্বক আজ সন্ধ্যায় বিয়ে দেওয়ার আয়োজন করেছে এমন খবরের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
মেয়েটি খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় অঙ্গীকার নামা নেওয়া, জরিমানা করা ও তদারকি করার জন্য কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।
আইন অমান্য করে বাল্যবিবাহের আয়োজন করলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বাল্যবিবাহ রোধে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান।