পটুয়াখালী: জেলার গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গণঅধিকার পরিষদের অফিস ভাঙচুর, নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও দোকান-বাড়ি ভাঙচুরসহ সামগ্রিক উত্তেজনায় উপজেলা প্রশাসন শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ৮টা থেকে রোববার (১৫ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
এদিকে শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে গলাচিপা উপজেলা এলজিইডি অফিসে সামনে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘শত শত তাজা প্রাণের বিনিময়ে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান জন্ম হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনার রক্তচক্ষু অপেক্ষা করে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ নিরলস ও শান্তিপূর্ণভাবে নিজ এলাকায় রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমার দলের জনপ্রিয়তা দেখে বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা গলাচিপা, দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গণঅধিকার পরিষদের অফিস ভাঙচুর, নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও দোকান-বাড়ি ভাঙচুরসহ রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি করে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘হাসান মামুন এর অনুসারীরা রাতভর অবরুদ্ধ করে রেখেছে, পথের মাঝে গাছ ফেলে রামদা, হকিষ্টিক ও দেশীয় অস্ত্রসহ মহড়া দিলেও পুলিশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমাদের কোনো নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আমরা চাইলে এর জবাব দিতে পারতাম! কিন্তু আমরা তা চাইনি। এলাকায় কোনো সহিংসতা হোক, আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ুক এটা আমার চাই না। তাই নিজেরা জীবন ঝুঁকি নিয়ে আমরা আমাদের উপজেলায় পৌঁছেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পরে সুবিধা নিচ্ছেন হাসান মামুনের মতো নেতাদের পরিবার। আমি বিএনপি’র শীর্ষ স্থানের নেতৃবৃন্দের জানিয়েছি, তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, এখন দেখার পালা! গণঅধিকার পরিষদ দল ভেসে আসেনি, অনেক লড়াই সংগ্রাম করে এই দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিড়িয়ে দেওয়ার জন্য ফ্যাসিস্ট সরকার হাসিনাকে ক্ষমতা রেখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছি। প্রয়োজনে আবারো আমজনতাকে সঙ্গে নিয়ে ফ্যাসিস্ট এর বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে একটি রাষ্ট্র উপহার দেওয়ার চেষ্টা করব।’
এ সময় জেলা, উপজেলার গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।