Saturday 14 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্ব রক্তদাতা দিবস ১৪ জুন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৩ জুন ২০২৫ ২০:৪২ | আপডেট: ১৪ জুন ২০২৫ ০০:১২

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বিশ্ব রক্তদাতা দিবস ১৪ জুন। এটি আসলে ধন্যবাদ জানানোর দিন। লাখ লাখ উদার স্বেচ্ছাসেবক ও মানবিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের প্রতি বিশ্ববাসীর শ্রদ্ধা জানানোর দিন, যারা রক্তদানের মাধ্যমে মুমূর্ষের জীবন বাঁচাতে ভূমিকা রাখছেন। নিরাপদ রক্ত নিশ্চিতকরণ ও স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উৎসাহ দিতেই বিশ্বব্যাপী দিনটি পালিত হয়।

দাতার রক্তের প্রতিটি ফোঁটায় বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ রোগীর মাঝে আশা প্রবাহিত হোক- এমন প্রত্যাশায় এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে- ‘রক্ত দিই, আশা জাগাই: সবাই মিলে জীবন বাঁচাই’। দিবসটি উপলক্ষ্যে নিরাপদ ও নিয়মিত রক্তদানের প্রতিও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন রক্তগ্রহীতা ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৩ জুন) কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাধারণত থ্যালাসেমিয়া ছাড়াও রক্তস্বল্পতা, প্রসূতির রক্তক্ষরণ, অগ্নিদগ্ধ রোগী, বড় অপারেশন, দুর্ঘটনা ইত্যাদি নানা কারণে রক্তের প্রয়োজন হয়। রক্তের কোনো বিকল্প নেই। রক্তের প্রয়োজনে রক্তই দিতে হয়। শারীরিক মানসিকভাবে আপাত সুস্থ ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী যেকোনো সক্ষম ব্যক্তি প্রতি চার মাস পরপর রক্ত দিতে পারেন। নিয়মিত রক্তদানে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণেরও বেশি কমে যায়। এমনকি আত্মিক-আধ্যাত্মিকভাবেও এর উপকার লাভ করেন দাতা।

আমাদের দেশে পেশাদার রক্ত বিক্রেতাদের উপর নির্ভরতা দিন দিন কমছে, স্বজনদের দানের পরিমাণও বেড়েছে। তবে প্রয়োজনীয় রক্তের চাহিদা আমরা এখনও মেটাতে পারছি না। অথচ রক্তদানের জন্যে ঐকান্তিক ইচ্ছাই যথেষ্ট। ধর্মীয়ভাবেও এ দান অত্যন্ত পূণ্যের কাজ। আর সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে রক্তচাহিদা পূরণে সঙ্ঘবদ্ধ সচেতনতাকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন। একটি জনগোষ্ঠীর অল্প কিছু অংশ সামর্থ্যবান মানুষ যদি নিয়মিত রক্তদান করেন তাহলেই রক্তের অভাবে কোনো মানুষের মৃত্যু হয় না। নিয়মিত ছোট্ট এই দান নতুন করে হাসি ফোটাতে পারে লাখো মানুষের জীবনে।

দেশে রক্তদাতা দিবস উপলক্ষ্যে রক্তচাহিদা পূরণে মানবিক আবেদন জানিয়ে সরব রয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, রেড ক্রিসেন্ট, সন্ধানী, বাঁধনসহ স্বেচ্ছাসেবী সঙ্ঘগুলো। ব্লাড ল্যাবগুলো উৎসাহিত করছে ল্যাবে গিয়ে রক্তদানে। এতে করে এক ইউনিট রক্তকে একাধিক উপাদানে ভাগ করে একাধিক রোগীকে সেবা দেয়া সম্ভব হয়।

বাংলাদেশে বছরে রক্তের চাহিদা আনুমানিক ১০ লক্ষাধিক ইউনিট। অথচ দেশের জনসংখ্যার তুলনায় রক্তের এ চাহিদা একেবারেই নগণ্য। তা হলেও এখনও আমরা স্বেচ্ছা রক্তদানে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারিনি। রক্তের প্রয়োজন মেটাতে যেহেতু কেবল রক্তই দিতে হয়, সেহেতু ব্যাপক জনসচেতনতার মাধ্যমে স্বেচ্ছা রক্তদাতা বৃদ্ধিই রক্তের এ চাহিদা মেটানো সম্ভব।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এনজে

১৪ জুন রক্তদাতা দিবস