Saturday 14 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ইরানে ইসরায়েলের হামলার তথ্য যুক্তরাষ্ট্র আগেই জানত’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৪ জুন ২০২৫ ১৩:০৮ | আপডেট: ১৪ জুন ২০২৫ ১৬:১২

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত।

ইরানে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক মিত্র দেশকে আগাম সতর্কতা জানিয়েছিল বলে সংবাদসংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা গেছে।

যদিও ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, তারা হামলায় সরাসরি সামরিকভাবে জড়িত ছিল না, তবে তারা ইসরায়েলের পরিকল্পনার বিষয়ে আগাম জানত এবং পরে ইরানের পালটা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে। সিবিএস নিউজের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা এবং হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের পরমাণু স্থাপনা, বিজ্ঞানী ও উচ্চপর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে আকাশ হামলা চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি সামরিক অভিযানের সূচনা হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

সূত্রমতে জানা যায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও নিজে বেশ কয়েকটি মিত্র দেশের নেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয় যে, এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সামরিক অভিযান নয় এবং এতে মার্কিন সামরিক সম্পদ ব্যবহৃত হয়নি। মার্কিন প্রশাসনের অবস্থান ছিল তারা কূটনৈতিক পথকে সামরিক শক্তির চেয়ে অগ্রাধিকার দিতে চায়।

মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক মিত্র দেশের কাছে এই বার্তা এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়, যেন ট্রাম্প প্রশাসন এই হামলার সম্ভাব্য প্রভাব, বিশেষ করে ওই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিগুলোর ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে নিজেদের দূরে রাখতে চায়।

হামলার পর ইরান ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং ইসরায়েলের ওপর পালটা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যাতে অন্তত ২০ জন আহত হয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

ইরান এর আগে হুমকি দিয়েছিল, যদি তাদের ওপর হামলা চালানো হয় তবে তারা মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর ওপর হামলা না করে।

এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ এক পোস্টে বলেন, ‘চুক্তি করো, না হলে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।’ জানা গেছে, ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা রোববার (১৫ জুন) ওমানে হওয়ার কথা ছিল, তবে ইসরায়েলি হামলার পরে ওই আলোচনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন মিত্র দেশগুলো, যেমন- কুয়েত, সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত যেখানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, তারা এই হামলার ব্যাপারে দুশ্চিন্তায় পড়েছে। কারণ, আঞ্চলিক যুদ্ধের পরিধি বেড়ে যেতে পারে এবং আণবিক স্থাপনায় হামলা থেকে বিকিরণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও দেখা দিয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) প্রধান রাফায়েল গ্রোসি জানিয়েছেন, ইরানি কর্তৃপক্ষ নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় আপাতত বিকিরণ ঝুঁকির আশঙ্কা নাকচ করেছে। তবে নতুন হামলা অব্যাহত থাকায় ভবিষ্যতের পরিস্থিতি অনিশ্চিত।

সারাবাংলা/এনজে

ইরানে-ইসরায়েল ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র হামলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর