ইরানের পালটা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জেরে ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি শুক্রবার (১৩ জুন) রাত থেকে শনিবার (১৪ জুন) ভোর পর্যন্ত পাঁচবার নিরাপদ আশ্রয়স্থলে স্থানান্তরিত হয়েছেন।
হামলার সময় টেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে সতর্কতা সাইরেন বাজলে, নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় তাঁকে একাধিকবার স্থান পরিবর্তন করতে হয় বলে সংবাদমাধ্যম সিএনএন সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার (১৪ জুন) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে হাকাবি লেখেন, ‘ইসরায়েলে এক রুদ্ধশ্বাস রাত কাটালাম।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইহুদিদের ধর্মীয় দিন শাব্বাত সাধারণত শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করা হলেও এবার সেটি ভয় ও আতঙ্কে কাটছে।
এর আগে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে শুক্রবার ভোররাতে ইরানের পরমাণু স্থাপনা ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক বিমান হামলা চালানো হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান থেকে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয় ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে, যার ফলে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয় এবং বহু সাধারণ নাগরিকের পাশাপাশি বিদেশি কূটনীতিকরাও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েন।
ইরানের হামলার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র আগেভাগেই ব্যবস্থা নেয়। গত বুধবার, ইসরায়েলের হামলার দুই দিন আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও প্রতিরক্ষা দফতর মধ্যপ্রাচ্যে থাকা তাদের কূটনৈতিক কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। যেসব কর্মকর্তা জরুরি দায়িত্বে ছিলেন না, তাদের সরিয়ে নেওয়া হয় কুয়েত, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মার্কিন ঘাঁটিতে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি স্পষ্ট করে দিচ্ছে, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা শুধু দুই দেশের সীমিত সংঘর্ষ নয়, বরং তা গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যেই মার্কিন দূত হাকাবির টানা নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়া প্রমাণ করে, এই সংকট এখন কূটনৈতিক নিরাপত্তাকেও সরাসরি প্রভাবিত করছে।