নীলফামারী: টানা কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস করা নীলফামারীবাসীর মুখে ফিরে এসেছে স্বস্তির হাসি।
শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে দাবদাহের দুর্ভোগের অবসান ঘটিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে নামে স্বস্তিদায়ক বৃষ্টি। হঠাৎ শুরু হওয়া এই বৃষ্টিতে কিছুটা প্রশান্তি মেলে মানুষের মনে। প্রাণ ফিরে পায় প্রকৃতি।
দিনভর প্রচণ্ড গরমের পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ডিমলা উপজেলার আকাশ ঘনকালো মেঘে ছেয়ে যায়। এরপর ধীরে ধীরে নামে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। এর আগে দুপুর ২টায় ডিমলা উপজেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে অন্যতম সর্বোচ্চ।
গরমে অতিষ্ঠ জনজীবনের চিত্র ফুটে ওঠে স্থানীয়দের ভাষ্যে। ডিমলার সবুজ মিয়া নামের এক বাসিন্দা বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে গরমে যেন নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। আজ দুপুরেও প্রচণ্ড গরম ছিল। হঠাৎ এই বৃষ্টিতে মনে হচ্ছে জীবনটা একটু হালকা হলো।”
শুধু বড়রাই নয়, এই বৃষ্টি যেন আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে শিশু-কিশোরদের জন্যেও। অনেকেই রাস্তায় ও মাঠে নেমে ভিজেছে বৃষ্টির ফোঁটায়। তাদের এই আনন্দঘন মুহূর্তে এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় এক ধরনের প্রাণচাঞ্চল্য।
নীলফামারী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী কয়েকদিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে দাবদাহ কিছুটা প্রশমিত হবে এবং পরিবেশে স্বাভাবিকতা ফিরবে বলে আশা করা যাচ্ছে।