ঢাকা: বাংলাদেশে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশের সরকারি খাতের কর্মদক্ষতা বাড়াতে ২৫ কোটি ডলারের (২৫০ মিলিয়ন) ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
শনিবার (১৪ জুন) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক পর্ষদে এ ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে। ‘স্ট্রেংদেনিং ইনস্টিটিউশনস ফর ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি’ প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ এবং প্রকল্পটির টিম লিডার সুলেমান কুলিবালি বলেন, ‘একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রকল্প এবং ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট উভয়ই সরকারকে আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও জনপরিষেবা উন্নয়নে সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারের সমন্বিত সমর্থন দেবে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সহায়তা করা প্রথম উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ছিল। তখন থেকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৪৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান, সুদমুক্ত এবং কম সুদের ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের ঋণ পাওয়া দেশের মধ্যে অন্যতম।’
জানা গেছে, প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের চলমান সংস্কার উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করবে— যাতে তথ্য স্বচ্ছতা, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ, সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা, সরকারি ক্রয় এবং আর্থিক তদারকি উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সরকারি খাতের কার্যক্রম আধুনিকীকরণ করা যায়।
প্রকল্পটি পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা জোরদারে কাজ করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পরিকল্পনা বিভাগ, বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) এবং মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়।
অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশবিষয়ক অন্তর্বর্তী কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, ‘বিনিয়োগটির মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ার ডিজিটাইজেশনকে কাজে লাগিয়ে স্বচ্ছতা উন্নয়ন করা হবে। ফলে দুর্নীতি কমাতে সাহায্য করবে, যা উদীয়মান অর্থনীতিতে সেবাদানকারী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আধুনিকীকরণে সহায়তা করবে। প্রকল্পটি জনসেবার মান উন্নয়নে সাহায্য করবে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনসাধারণের আস্থা বাড়াবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্পটির মাধ্যমে ট্যাক্স ব্যবস্থাপনা আধুনিকীকরণ, ট্যাক্স আদায়ে স্বেচ্ছানুভূতিতে অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং রাজস্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা হবে। সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানো, ই-জিপি’র দ্বিতীয় প্রজন্ম চালু এবং অডিট ব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তর প্রকল্পের মূল অংশ।’