ইসরায়েলের দখলদার অঞ্চলগুলোর ওপর ইরান আবারও ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ‘ক্রিমিনাল জায়নিস্ট রেজিম’-এর বিরুদ্ধে পালটা অভিযানের অংশ হিসেবে ইরান এই হামলা চালায় বলে জানিয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিএস)। এতে অন্তত ৮ জন নিহত ও ২০০ জন আহত হয়েছেন। নিখোঁজ অন্তত ৩৫ জন।
রয়টার্সের বরাতে জানা গেছে, শনিবার (১৪ জুন) ইসরায়েলের স্থানীয় সময় রাত ১১টার একটু পরে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়। এ সময় জেরুজালেম ও ইসরায়েলের হাইফা শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা জানিয়ে তীব্রস্বরে সাইরেন বেজে ওঠে আর লোকজন বোম্ব শেল্টারগুলোতে গিয়ে আশ্রয় নিতে শুরু করে।
উত্তর দখলকৃত ফিলিস্তিনে হামলার পরপরই সাইরেন বাজানো হয়। হাইফায় ইরানের হাইপারসনিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে এলাকাটি কেঁপে ওঠে এবং একটি কৌশলগত স্থাপনায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
স্থানীয় ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানায়, হাইফার একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প এলাকার তেল শোধনাগারে আগুন ধরে যায়। এই হামলা ছিল ‘ট্রু প্রমিস থ্রি’ অভিযানের অংশ, যাতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন একসাথে ব্যবহার করা হয়েছে।
ইরানি আইআরজিসি টেলিগ্রাম চ্যানেল জানিয়েছে, হাইফা রিফাইনারিতে বিশাল অগ্নিকাণ্ডের কারণ ছিল ইরানের হামলা। ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-ও হাইফার কাছে একটি কৌশলগত স্থাপনায় বড় অগ্নিকাণ্ডের খবর নিশ্চিত করেছে।
ইরানের সর্বশেষ হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ জনে, আহত হয়েছেন অনেকে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উত্তরের দখলকৃত অঞ্চলে ইরানের হামলায় একজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। তবে অন্য সূত্র বলছে, হাইফার কাছের তামরায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে দুজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, তামরা শহরের একটি দুইতলা ভবনে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে এক বাসিন্দা নিহত এবং ১৩ জন আহত হন।