ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক রাজনীতিতে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম।
রোববার (১৫ জুন) বিকেলে পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ‘‘প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠক দেশের রাজনীতিতে কিছু সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এই বৈঠক রাজনীতিতে এক ধরনের অস্বস্তিও তৈরি করেছে। দুই নেতার একান্ত বৈঠক রাজনীতিতে কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আগামী রাজনীতির স্বাচ্ছন্দের জন্য এবং দলগুলোর অস্বস্তি দূর করতে বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্ত জাতির সামনে উপস্থাপন করা উচিত বলে মনে করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।’’
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের রাজনীতি বহুদলীয় রাজনীতি। বিগত ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে দেশের বহুসংখ্যক রাজনৈতিক সংগঠন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অংশ নিয়েছে। সুতরাং আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে সমান গুরুত্ব দেওয়া নৈতিক কর্তব্য।’’
লন্ডন বৈঠকের চরিত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অবমূল্যায়নের ধারণা জন্ম দিয়েছে অভিযোগ করে সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ‘‘নির্বাচন আয়োজনের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নানা রকম দাবি থাকা সত্তেও সব উপেক্ষা করে প্রধান উপদেষ্টা ঈদের আগের দিন জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে একটা সংক্ষিপ্ত সময়সীমা ঘোষণা করেছিলেন। জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে যে সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে, তা একটি একান্ত বৈঠকের পরে পুনর্বিবেচনা করায় রাজনীতিতে অস্বস্তি তৈরি করেছে। সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি নির্মাণের স্বার্থে এই অস্বস্তি দূর করা উচিত।’’
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এখন দেশকে ভবিষ্যৎ স্বৈরতন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করতে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, এনসিসি গঠন, সংসদীয় কমিটির প্রধান বিরোধীদল থেকে দেওয়াসহ স্বৈরতন্ত্র প্রতিরোধে যেসব সতর্কতামূলক আইনী প্রতিবন্ধকতা প্রস্তাব করা হয়েছে তাকে বিএনপি সমর্থন করবে বলে আশা করছি।’’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান প্রমুখ।