ঢাকা: ডাকসু নির্বাচন কমিশন ও তফসিল ঘোষণার দাবিতে ফের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী।
রোববার (১৫ জুন) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য বাসভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের মাহতাব ইসলাম স্থায়ীভাবে অবস্থান কর্মসূচি করছেন। তবে এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু শিক্ষার্থীকে তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অবস্থান করতে দেখা গেছে। অবস্থান কর্মসূচিতে তাদের কাছে, ‘ডাকসু আমার অধিকার, রুখে দেয় সাধ্য কার’সহ নানা ফেস্টুন দেখা যায়।
অবস্থান কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায়লে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘ডাকসু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের একটা প্ল্যাটফর্ম। ডাকসু জুলাই অভ্যুত্থানের কমিটমেন্ট। অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীরা পরিবর্তিত পরিবেশ চেয়েছে দলীয় দাসত্ব ও কালো টাকার দখলদারিত্বের রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস। তারা প্রত্যাশা করেছে, একটা গবেষণা বান্ধব একাডেমিয়া বিশ্ববিদ্যালয় হবে। যেখানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চার জায়গা থাকবে, পারস্পরিক সহিষ্ণতা থাকবে, সহাবস্থান থাকবে। এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছি। আমরা সম্প্রতি তিনজন তিনদিনের অনশনে ছিলাম। তারপরে ভিসি স্যারসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেছিলেন জুনের ২ তারিখের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচনের সময়সীমা আমাদের জানাবেন। কিন্তু ২ তারিখে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, সোমবার (১৬ জুন) ডাকসুর বিষয়ে জরুরি সিন্ডিকেট মিটিং আহ্বান করা হয়েছে। আমাদের এইটা হুঁশিয়ারি যে, আগামীকাল যে সিন্ডিকেট মিটিং হবে সেই মিটিংয়ে শিক্ষার্থী ও ডাকসুর পক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে হবে। নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত এবং নির্বাচনের তারিখ আমরা এখান থেকে চাই।’
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ১০ টা) তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। বিন ইয়ামিন মোল্লা জানান, ডাকসু সুনির্দিষ্ট টাইমফ্রেম না জানানো পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।