ঢাকা: বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ইতিহাসে ১৬ জুন কালিমালিপ্ত দিন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৬ জুন) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন এক বিষাদঘন কালিমালিপ্ত দিন। এদিনে তৎকালীন একদলীয় বাকশাল সরকার নাৎসী কায়দায় তাদের অনুগত ৪টি সংবাদপত্র অনুমতি দিয়ে অন্যসব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে কর্মরত অসংখ্য সংবাদকর্মীকে বেকার করে হতাশার অতল গহব্বরে ঠেলে দিয়েছিল। বাকশালের পথ ধরে ডামি আওয়ামী সরকার পুরনো বাকশালের পুন:রুত্থান ঘটিয়ে বিগত ১৫ বছর সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর দমন-পীড়ন অত্যূগ্র মাত্রা নামিয়ে এনেছিল।
তিনি বলেন, ‘‘নানা কালাকানুনের মাধ্যমে সংবাদপত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার টুঁটি চেপে ধরা হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল দিনকাল, আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামী টিভি, চ্যানেল ওয়ান টিভি সহ অসংখ্য গণমাধ্যম। সত্য প্রকাশে খুনের শিকার হয়েছেন অর্ধশতাধিক সাংবাদিক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা মামলায় গ্রেফতার ও হয়রানীর শিকার হয়েছেন বহু সাংবাদিক, শিক্ষক, পেশাজীবী এমনকি শিশু শিক্ষার্থীরাও।’’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘মন্ত্রী-এমপিদের এবং ক্ষমতাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমালোচনা করলেই সাংবাদিকদের হয়রানী ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হতো। ৭৫ এর এই দিনের বিভিষিকা এখন ভিন্ন মাত্রায় আরও ভয়ঙ্কর হিংস্ররুপে আত্মপ্রকাশ করেছিল। কিন্তু বিগত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর মানুষ তাদের বাকস্বাধীনতা কিছুটা হলেও ফিরে পেয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা পেতে হলে প্রয়োজন দ্রুত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি বহুমত, পথ ও দলের বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামে বারবার অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। বহুমাত্রিকতা বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ। বারংবার অবৈধ স্বৈরাচারী গোষ্ঠীর শক্ত শৃঙ্খল ভেঙ্গে গণতন্ত্রকে মুক্ত করেছে বিএনপি। যেমনটি করেছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক এবং আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। বাতিল করেছিলেন বাকশালী আমলের সকল কালাকানুন।”