ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেল আবিবে মার্কিন দূতাবাসের ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি।
তিনি জানান, দূতাবাস শাখা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো কর্মী আহত হননি, তবে দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া জেরুজালেমে অবস্থিত প্রধান মার্কিন দূতাবাসও বন্ধ থাকবে এবং সেখানে নিরাপদে অবস্থান করার নির্দেশনা বহাল আছে।
আবাসিক এলাকায় সরাসরি হামলার ফলে দূতাবাস ভবনের জানালাসহ আশপাশের হোটেল ও বাড়ির জানালাও ভেঙে পড়ে। এই হামলায় আশপাশের কয়েকটি আবাসিক ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।
এদিকে রোববার রাতভর ইরান ও ইসরায়েলের পালটাপালটি ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার মধ্যে ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা।
ইসরায়েলের উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে স্নিফার ডগ ও ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বরাতে জানা গেছে, রোববার রাতের হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন।
গত শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানের ভূখণ্ডে একযোগে বিমান-ড্রোন-মিসাইল হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। এতে দেশটির পারমাণবিক স্থাপনা, তেল শোধনাগারসহ বহু স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। হতাহত হয় বহু মানুষ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে অন্তত ২২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন দের হাজারের বেশি মানুষ।
অপরদিকে ইসরায়েলের অপারেশন রাইজিং লায়নের জবাবে গত দুইদিন ধরেই দেশটির বিভিন্ন স্থাপনায় মুহুর্মুহু মিসাইল ও ড্রোন ছুঁড়েছে তেহরান। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত তেল আবিবে ইরানের হামলায় প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। এরমধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। ফলে প্রাণহানি আরও বাড়ার শঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।