কক্সবাজার: ৬ জুন রিমঝিম বড়ুয়ার (২২) বিয়ের আশীর্বাদ হয়েছিল। আগামী ৬ জুলাই তার বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় বিয়ের আগেই প্রাণ হারালেন তিনি। একই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বাবা হাবিব উল্লাহ ও তার ছেলে গিয়াস উদ্দিন। হাবিব উল্লাহ তার ছেলে গিয়াস উদ্দিনকে মাদরাসায় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি এলাকায় শোকের ছায়া ফেলেছে।
সোমবার (১৬ জুন) সকাল ৮ টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রামুর রশিদনগর এলাকায় বাস-কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষে তাদের তিনজনের মৃত্যু হয়।
নিহত রিমঝিম বড়ুয়ার বাড়ি রামুর পূর্ব রাজারকুলে। তিনি চট্টগ্রামের একটি এনজিওতে চাকরি করতেন। হাবিব উল্লাহ কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন। শিশু গিয়াস উদ্দিন নিহত হাবিব উল্লাহর ছেলে।
রিমঝিমের স্বজন আইনজীবী শিপ্ত বড়ুয়া জানান, গেল ৬ জুন রিমঝিমের বিয়ের এনগেজমেন্ট হয়েছে। ৬ জুলাই বিয়ে দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে। দুর্ঘটনায় তার মৃত্যুতে সব শেষ হয়ে গেছে। শোকে কাতর রিমঝিমের পরিবার।
নিহত হাবিব উল্লাহর ভাই রহিম জানান, ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রামের হেফজখানায় যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনায় হাবিব ও তার ছেলে নিহত হয়। বাবা-ছেলের মৃত্যুতে শোকে মূর্ছা যাচ্ছেন স্বজনরা।
রামু হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছির উদ্দিন বলেন, কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী পুরবী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস এবং ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী ক্যাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে শিশুসহ বাসের তিনজন যাত্রী নিহত হয়। আহত হয়েছেন আরও জন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার পর বাস ও ক্যাভার্ড ভ্যানের চালকরা পালিয়ে যায়।