ঢাকা: আমীর খসরু মহামুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি অনেক সময়। এত সময় লাগার কোনো কারণ নেই। বিএনপি আগেই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছে। সুতরাং, ফেব্রুয়ারি আরও দীর্ঘ সময়। তারপরও যদি ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হয়, তাতে কোনো সমস্যা নেই।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে লন্ডন থেকে ফিরে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘‘দেশের মানুষ গত ২০ বছর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি এবং নতুন প্রজন্ম ভোট দিতে পারেনি। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র উত্তরণ চায় তারা। নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আর কোনো পথ নেই। এ বিষয়ে তারা সবাই ঐকমত্য পোষণ করছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমি আগেও বলেছি, ঐক্যমতের মাধ্যমে আমরা যত দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারব, সেটা জাতির জন্য ভালো। আমরা যে ঐক্যবদ্ধ আছি, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়। ঐক্যবদ্ধ থাকার ফলেই আমরা স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টকে বিদায় করতে পেরেছি। সুতরাং আমরা চেষ্টা করব সব খানেই ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে।’’
প্রধান উপদেষ্টার মতো বিএনপিও রোজার আগে বিচার ও সংস্কারের অগ্রগতি চায় কিনা?— এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌদুরী বলেন, সংস্কারের বিষয়টি ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল। এ বিষয়ে ড. ইউনূস, তারেক রহমান এবং বিএনপির সকল নেতারা আগেই বলেছেন। ঐকমত্য হতে এক থেকে দেড় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।’’
বিচার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটা বিচার বিভাগের ওপর নির্ভর করে। বিচার বিভাগ বিচার করবে এবং বিচারের আওতায় আনারও বিষয় আছে। যারা বিচারের আওতায় আসবে, তার জন্য আরও প্রায় ছয় মাস সময় আছে। আর যারা এর মধ্যে আসবে না, তাদের জন্য তো আগামী সরকার আছে। তাই এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এগুলো কোনো সমস্যা।’’
তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠকে নির্বাচনের নিরপেক্ষতার বিষয়ে কোনো আলোচনা বা বার্তা আছে কিনা জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ‘‘যখনই নির্বাচন শুরু হবে, তখনই সরকার নিরপেক্ষতার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের ধারণা হল একটি নিরপেক্ষ সরকার। সুতরাং, নির্বাচনে সেই নিরপেক্ষতা সরকার নিশ্চিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’’
বৈঠকে সংস্কারের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান বলেছেন- এখানে যতটুকু ঐকমত্য হবে, সংস্কারও ততটুকুই হবে। বাকি অংশটা নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির কাছে নিয়ে যেতে হবে। সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না, নির্বাচনের পরও চলমান থাকবে।’’