ঢাকা: চলতি পঞ্জিকা বছরের প্রথম চার (জানুয়ারি-এপ্রিল) মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দেশের পোশাক রফতানি বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। গত বছর (২০২৪ সাল) একই সময়ে যেখানে ২ হাজার ৩০৬ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছিলো, সেখানে চলতি বছরের একই সময়ে রফতানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৮৩ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে ৬৭৭ মিলিয়ন ডলারের বেশি পোশাক রফতানি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি বাড়ার শীর্ষে বাংলাদেশ।
সোমবার (১৬ জুন) অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটেক্সা) এর এক পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওটেক্সার তথ্যমতে, আলোচ্য সময়ে বিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিও বেড়েছে ১০ শতাংশ। আর এই সময়ে যক্তরাষ্ট্রে অন্য কোন দেশের রফতানি প্রবৃদ্ধি ২১ শতাংশের বেশি নয়।
চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পোশাক আমদানি করেছে ২৬ হাজার ২১৮ মিলিয়ন ডলার, গত বছরের একই সময়ে আমদানি করেছিল ২৩ হাজার ৬৯৪ মিলিয়ন ডলার। এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পোশাক রফতানি ৪ হাজার ৩৫৭ মিলিয়ন ডলার, গত বছরের একই সময়ে রফতানি ছিলো ৪ হাজার ৩২৮ মিলিয়ন ডলার। এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পোশাক রফতানি বেড়েছে মাত্র দশমিক ৬৬ শতাংশ।
গত বছরের প্রথম ৪ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ভিয়েতনামের পোশাক রফতানি ছিলো ৪ হাজার ৩৮৪ মিলিয়ন ডলার, চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৯ মিলিয় ডলারে, যুক্তরাষ্ট্রে ভিয়েতনামের পোশাক রফতানি প্রবৃদ্ধি ১৬ শতাংশ। আর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
ওটেক্সার তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ইন্দোনেশিয়ার পোশাক রফতানি প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ, ভারতের ২০ দশমিক ৩০ শতাংশ, মেক্সিকোর দশমিক ৫৬ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ১৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ ও পাকিস্তানের পোশাক রফতানি প্রবৃদ্ধি ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ। প্রথম চার মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে হন্ডোরাস ও কোরিয়ার। দেশটিতে হন্ডোরাসের পোশাক রফতানি কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ ও কোরিয়ার কমেছে দশমিক ৩২ শতাংশ।