ঢাকা: জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় ‘ব্যালট প্রকল্প’ এগিয়ে নিতে ফান্ডিং চুক্তি সই হবে ১৮ জুন। সোমবার (১৬ জুন) নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র বলছে, বুধবার (১৮ জুন) বিকেল ৩ টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে এই চুক্তি সই অনুষ্ঠিত হবে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ করার জন্য জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপি’র সহায়তায় ১৮ কোটি ডলার বা ২১৯ কোটি ২১ লাখ ২৬ হাজার ২৬৭ টাকার একটি প্রকল্প এটি।
গত ২৮ মে এই প্রকল্পের আওতায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), নির্বাচন কমিশন এবং ইউএনডিপি একটি চুক্তি সই করেছে। ইআরডির সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এবং ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এই চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি অনুযায়ী, ‘বাংলাদেশ অ্যাডভান্সমেন্ট ফর ক্রেডিবল, ইনক্লুসিভ অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্ট ইলেকশনস ব্যালট’ নামে প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৫ থেকে ২০২৭ সাল অর্থাৎ তিন বছর হবে। আর এ প্রকল্পের অর্থ ব্যয় হবে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে উপকরণ যেমন ক্যামেরা, ল্যাপটপ, আইরিশ স্ক্যানার, ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার, সিগনেচার প্যাড, ডকুমেন্ট স্ক্যানার ক্রয়, সার্ভার সুরক্ষা, অপপ্রচার, গুজব, বিদ্বেষ ছড়ানো, নির্বাচনি আইনে জেন্ডার সংবেদনশীলতা, প্রবাসী ভোটিং, ভোটার শিক্ষণ কার্যক্রম, সক্ষমতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, প্রচার কার্যক্রম, জেন্ডার সংবেদনশীল রিপোর্টিংয়ের ওপর গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশিক্ষণ, নারীদের ওপর সন্ত্রাস প্রতিরোধ কার্যক্রম প্রভৃতি খাতে।
এই প্রকল্পের কাজ হবে দুই ধাপে। প্রথম ধাপে- প্রযুক্তিগত, কারিগরি প্রস্তুতি এবং ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর উপায় নিয়ে কাজ হবে। দ্বিতীয় ধাপের লক্ষ্য সংস্কার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং নির্বাচনি কাজের পর গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা জোরদার করা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ইসি, ইউএন উইমেন, ইউনেস্কো এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে মিলে কাজ করা হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ইউএনডিপি দীর্ঘদীন ধরেই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। অতীতেও বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থার উন্নয়নে নানা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করেছে সংস্থাটি। এর আগে, ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করা সংক্রান্ত (এসইএমবি) একটি প্রকল্পেও সহায়তা ছিল ইউএনডিপির।