ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে । মূলত, দূতাবাসের এক কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত দুটি সংবেদনশীল স্থাপনা লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলার পর, দূতাবাস কর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
সোমবার (১৭ জুন) সকালে তেহরান থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তেহরান ইউনিভার্সিটির রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার মেডিসিনসহ দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার আশঙ্কা বাড়ছে। এসব স্থাপনার খুব কাছেই বাংলাদেশ মিশন অবস্থিত, যা কর্মরত কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে । তাই তাদের ৩০-৪০ কিলোমিটার দূরে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে।
তেহরান থেকে বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা
ইরানে থাকা কোনো বাংলাদেশি ঝুঁকিতে পড়লে তাকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্রের বড় একটি লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে তেহরান এবং সেখানেই বাংলাদেশ দূতাবাসের অবস্থান। এছাড়া কিছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও পেশাজীবী তেহরানে অবস্থান করছেন। এই প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রদূত, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাদের পরিবারসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের তেহরানের বাইরে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের তৃতীয় দেশে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে নিরাপত্তা। তেহরানে থাকা বিপজ্জনক হলে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়াই সঙ্গত। তিনি বলেন, তেহরানের অবস্থা বুঝে দূতাবাস এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে।
হটলাইন চালু
এমন পরিস্থিতিতে ইরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য জরুরি হটলাইন চালু করেছে তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য ইমার্জেন্সি হটলাইন চালু করা হয়েছে। ইরানে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের +৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮ এবং +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫ (হোয়াটসঅ্যাপসহ) নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।