Tuesday 17 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৭ জুন ২০২৫ ১১:৩২ | আপডেট: ১৭ জুন ২০২৫ ১১:৪৯

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকা: জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) এ বিজ্ঞপ্তি জারি করেন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার। একইসঙ্গে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের নির্দেশে পত্রিকায়ও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসামিরা আত্মসমর্পণ না করলে তাদের অনুপস্থিতিতেই এ বিচারকাজ চলবে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া সত্ত্বেও তারা পলাতক ও আত্মগোপনে থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৪ জুন দিন ধার্য করা হয়। ১৬ জুন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।

এর আগে, ১ জুন শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফর্মাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

এই তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন।

এই বিচারকাজ বিশ্বকে দেখাতে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ট্রাইব্যুনালের শুনানি সরাসরি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এই অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে জুলাই-আগস্টের নৃশংসতার ‘মাস্টারমাইন্ড, হুকুমদাতা ও সুপিরিয়র কমান্ডার’ হিসেবে তুলে ধরা হয়।

সারাবাংলা/আরএম/ইআ

বিজ্ঞপ্তি শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর