ঢাকা: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে ‘পর্যবেক্ষণ নীতিমালা’। শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সারাবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
তিনি জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতিমূলক নানা কাজ করছে কমিশন। তারই ধারাবাহিকতায় চূড়ান্ত করা হয়েছে ‘পর্যবেক্ষণ নীতিমালা’।
কবে নাগাদ প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘খুব শিগগিরই জারি করা হবে প্রজ্ঞাপন।’
নতুন এই নীতিমালা জারি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় নিবন্ধিত ৯৬টি সংস্থার নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। পাশাপাশি আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন দিয়েছে এমন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন না দেওয়া বিধানও রাখা হয়েছে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবারের নীতিমালা নতুন যোগ করা হয়েছে যে, আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হতে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে। পূর্বের নীতিমালায় পর্যবেক্ষক হওয়ার ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমান ছিল। আর সব যোগ্যতা আগের মতোই থাকছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনি সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিক বা গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য নতুন নীতিমালায় কার্ড পেতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে।
বরং ভোটের তিনদিন আগে সাংবাদিক কার্ডের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করার বিধান ছিল আগে; এবার তা বাড়িয়ে এক সপ্তাহ আগে করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
Guidelines for International Election Observer and Foreign Media এ উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো পরিবর্তন আসছে না।
সেইসঙ্গে আলোচিত সবশেষ তিনটি নির্বাচনে যেসব পর্যবেক্ষক সংস্থা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল তাদের নিবন্ধন না দেওয়ারও বিধান রয়েছে।
নতুন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা প্রজ্ঞাপন জারি হলে সংস্থাগুলোকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেবে কমিশন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নীতিমালা মেনে আবেদন করতে হবে আগ্রহীদের। এরপর যাচাই-বাছাই শেষ করে ইসি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর বিষয়ে দাবি-আপত্তি চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দেবে।
নিবন্ধন প্রক্রিয়া অংশে নতুন নীতিমালায় উল্লেখযোগ্য বিধানগুলো হলো:
নীতিমালার ৪ নম্বরে নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে যা বলা হয়েছে:
৪.১ পর্যবেক্ষক সংস্থাসমূহকে নিবন্ধনের জন্য দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হইবে। পর্যবেক্ষণে ইচ্ছুক সংস্থাকে গণবিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ফরম [EO-1] এ আবেদন কমিশন সচিবালয়ে জমা দিতে হইবে। ফরমে বর্ণিত তথ্যাদি যথাযথভাবে পূরণপূর্বক বিজ্ঞাপনে উল্লিখিত দলিলাদি আবেদনপত্রের সহিত সংযুক্ত করিতে হইবে;
৪.২ গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করিবার লক্ষ্যে কাজ করিয়া আসিতেছে এবং যাহাদের নিবন্ধিত গঠনতন্ত্রের মধ্যে এই সকল বিষয়সহ সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে তথ্য প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণের অঙ্গীকার রহিয়াছে কেবল সেই সকল বেসরকারি সংস্থাই নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসাবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করিতে পারিবে;
৪.৩ (ক) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সহিত সরাসরি জড়িত ছিলেন বা আছেন কিংবা নিবন্ধন লাভের জন্য আবেদনকৃত সময়ের মধ্যে কোন নির্বাচনের প্রার্থী হইতে আগ্রহী এইরূপ কোন ব্যক্তি যদি পর্যবেক্ষণের জন্য আবেদনকারী কোন সংস্থার প্রধান নির্বাহী কিংবা পরিচালনা পর্ষদের বা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হইয়া থাকেন, তাহা হইলে উহা যে নামেই অভিহিত হউক না কেন উক্ত সংস্থাকে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসাবে নিবন্ধন করা হইবে না।
৪.৩ (খ) আবেদনকারী সংস্থার প্রধান নির্বাহী কিংবা পরিচালনা পর্ষদের বা ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্য রাজনৈতিক দলের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় মর্মে আবেদনের সাথে লিখিত হলফনামা জমা দিতে হইবে।
৪.৩ (গ) নির্বাচন কমিশনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক এমন কোন প্রতিষ্ঠান যার নামের সাথে জাতীয় কোন প্রতিষ্ঠানের নামের হুবহু মিল রহিয়াছে অথবা কাছাকাছি নাম ব্যবহার করা হইয়াছে যাহা দ্বারা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হইতে পারে এমন প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার অযোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে।
৪.৩ (ঘ) নির্বাচন কমিশনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসাবে নিবন্ধন পাইতে ইচ্ছুক এমন কোন প্রতিষ্ঠান যাহার নামের সহিত আন্তর্জাতিক/আঞ্চলিক কোন প্রতিষ্ঠানের নামের হুবহু মিল রহিয়াছে অথবা কাছাকাছি নাম ব্যবহার করা হইয়াছে যাহা দ্বারা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হইতে পারে এমন প্রতিষ্ঠানকে ঐ আন্তর্জাতিক/আঞ্চলিক সংস্থা হইতে লিখিত অনাপত্তিপত্র আবেদনের সহিত দাখিল করিতে হইবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদনের অযোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে।
৪.৩ (ঙ) ইহাছাড়া আবেদনের সহিত নিম্নলিখিত দলিলাদি সংযুক্ত করিতে হইবে:-
- সংস্থার গঠনতন্ত্র (নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত হইতে হইবে);
- সংস্থার বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড/পরিচালনা পর্ষদ/কার্যনির্বাহী কমিটির তালিকা (নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত) ;
- সংস্থার নিবন্ধন সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি (প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক);
- সংস্থার নিবন্ধিত অফিসের নাম ও ঠিকানা (পরিবর্তন হইলে তার স্বপক্ষে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকিতে হইবে);
- নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নাম ও ঠিকানা;
- নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত কার্যাবলীর তালিকা;
সর্বশেষ দুই বছরের সম্পাদিত কার্যক্রমের বার্ষিক প্রতিবেদন;
৪.৪ (ক) কমিশন প্রাপ্ত আবেদনপত্রসমূহের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই-বাছাই করিয়া প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনের উপযুক্ত সংস্থাসমূহের একটি তালিকা প্রস্তুত করিবে। এই তালিকা সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত গ্রহণ করিবার জন্য ১৫ (পনের) কার্যদিবস সময় দিয়া দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করিবে;
(খ) তালিকায় উল্লিখিত কোন সংস্থার বিষয়ে আপত্তি প্রদান করা হইলে আপত্তির সমর্থনে উপযুক্ত প্রমাণ দাখিল করিতে হইবে। অন্যথায় আপত্তি গ্রহণ করা হইবে না।
৪.৫ আপত্তির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর,
(ক) কোন আপত্তি পাওয়া না গেলে, আপত্তি প্রদানের তারিখ সমাপ্ত হইবার ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে;
(খ) কোন আপত্তি দাখিল করা হইলে, ঐ আপত্তির উপর উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে কমিশনে শুনানি গ্রহণ করিবার পর কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে। তবে শুনানীতে কোন পক্ষ অনুপস্থিত থাকিলে কমিশন একতরফাভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করিবে;
(গ) উল্লিখিত ক ও খ অনুচ্ছেদের ক্ষেত্রে কমিশন কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে আবেদনকারী ও আপত্তিকারী উভয়কে লিখিতভাবে অবহিত করা হইবে।
৪.৬। ইতঃপূর্বে যেসকল পর্যবেক্ষক সংস্থা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হইয়া প্রতিবেদন দাখিল করিয়াছেন তাহাদের নিবন্ধন দেওয়া যাইবে না।
৪.৭। যেই সকল সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হইবে তাহাদেরকে নির্বাচন কমিশন হইতে নিবন্ধন সার্টিফিকেট প্রদান করা হইবে।
নীতিমালায় ৫ নম্বরে নিবন্ধনের মেয়াদ নিয়ে যা বলা হয়েছে, সেগুলো হলো:
প্রতিটি সংস্থার নিবন্ধনের মেয়াদ অনুমোদনের তারিখ হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসরের জন্য বহাল থাকিবে, যদি না কোন কারণে উহা তৎপূর্বেই বাতিল করা হয়। তবে শর্ত থাকে যে, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হইলে নিম্নোক্ত শর্তসাপেক্ষে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাইবে।
শর্তসমূহ:
(ক) নিবন্ধন প্রাপ্তির পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের যেকোন ১টি সাধারণ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের অন্তত ৪টি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করিয়া পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে দাখিল করিতে হইবে।
(খ) প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর নিবন্ধিত সংস্থাসমূহের দ্বি-বার্ষিক প্রতিবেদন কমিশন সচিবালয়ে দাখিল করিতে হইবে।
(গ) নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত অবস্থায় সংস্থাটিকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, নীতিমালা ও দেশের প্রচলিত আইন-বিধি মানিয়া চলিতে হইবে।
(ঘ) নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হইলে উপরোক্ত শর্ত পূরণ করিয়া নিবন্ধন নবায়নের জন্য সংস্থাটিকে সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বরাবর আবেদন দাখিল করিতে হইবে। দাখিলকৃত আবেদনের বিষয়ে মাননীয় কমিশন সংস্থাটির নবায়নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন।
৬। পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল-
(১) নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার বিরুদ্ধে পর্যবেক্ষণ নীতিমালা লঙ্ঘন, রাষ্ট্র বা শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকিবার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে কমিশন অভিযোগের বিষয় উল্লেখপূর্বক সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন কেন বাতিল হইবে না তৎমর্মে ১০(দশ) কার্যদিবসের মধ্যে ইহার লিখিত জবাব প্রদানের জন্য নোটিশ প্রেরণ করিবে।
(২) নোটিশ প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট সংস্থা নির্ধারিত সময়সীমায় জবাব দাখিল করিবে। লিখিত জবাবের সহিত কমিশনের নিকট হাজির হইয়া কোন কিছু ব্যক্ত করিতে চাহিলে শুনানির জন্য আবেদন করিতে পারিবে। শুনানিতে আইনজীবি নিয়োগ এবং আত্মপক্ষ সমর্থনে তথ্য প্রমাণাদি উপস্থাপনের সুযোগ প্রদান করা হইবে।
(৩) নির্ধারিত সময়সীমায় নোটিশের লিখিত জবাব দাখিল না করিলে কিংবা শুনানির ইচ্ছা পোষণ না করিলে বা শুনানিতে উপস্থিত না হইলে কমিশন সংস্থাটির নিবন্ধন বাতিল করিতে পারিবে।
(৪) লিখিত জবাব ও শুনানি গ্রহণের পর কমিশন, প্রয়োজন মনে করিলে, সংস্থাটির আইনানুগ/ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মতামত বা প্রতিবেদন গ্রহণ করিতে পারিবে অথবা অভিযোগের তদন্ত পরিচালনা করিতে পারিবে। নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মতামত বা তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হইলে কমিশন সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল করিবে। এই ব্যাপারে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
নীতিমালার ৮ নম্বরে পর্যবেক্ষকের যোগ্যতা নিয়ে যা বলা হয়েছে:
৮.১ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক হইতে হইবে;
৮.২ বয়স ২৫ (পঁচিশ) বা তদূর্ধ্ব হইতে হইবে;
৮.৩ ন্যূনতম এইচ.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে হইবে;
৮.৪ কোন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হইতে পারিবে না;
৮.৫ কোন নিবন্ধিত বা অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থা কর্তৃক মনোনীত হইতে হইবে;
৮.৬ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ অঙ্গীকারনামা ফরম EO-3 স্বাক্ষর এবং স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের জন্য প্রযোজ্য নীতিমালা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আইন মানিয়া চলিতে হইবে;
৮.৭ কোন রাজনৈতিক দল বা দলের অংঙ্গসংগঠন বা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কোন প্রার্থীর সহিত ব্যক্তিগত স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা থাকিতে পারিবে না;
৮.৮ কোন রাজনৈতিক দল বা এর কোন অঙ্গসংগঠনের সহিত কোনভাবে যুক্ত কেহ নির্বাচন পর্যবেক্ষক হইতে পারিবেন না।
এছাড়া, পর্যবেক্ষক সংস্থার দায়িত্ব, পর্যবেক্ষক মোতায়েন, পর্যবেক্ষকদের করণীয়, বাংলাদেশে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, প্রতিবেদন সংক্রান্ত বিধান ও পর্যবেক্ষকদের আচরণ বিষয়ে বিধানে কোনো পরিবর্তন আনা হয় নি।
জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, কমিশনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান তিনি। বলেন, পর্যবেক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম স্নাতক করা উচিত। কারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ এতোটা সহজ বিষয়ও নয়। ভোট শেষে একটা প্রতিবেদনও জমা দিতে হয়। কাজেই বিষয়টা আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষক নিবন্ধন প্রথা শুরু করে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। ওই নির্বাচনে দেশি পর্যবেক্ষক ছিল এক লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ২০১৪ সালে ৩৫টি সংস্থার আট হাজার ৮৭৪ জন পর্যবেক্ষক ভোট দেখেছেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১৮টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮১টি দেশি সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ জন পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৯৬টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮০টির মতো সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন ভোট দেখেছেন।