Tuesday 17 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডিসিসিআই ও সিলন চেম্বারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৭ জুন ২০২৫ ১৮:২৯ | আপডেট: ১৭ জুন ২০২৫ ১৯:৩২

মঙ্গলবার শ্রীলংকার একটি হোটেলে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার ব্যবসায়ীদের এক যৌথ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ – ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ও সিলন চেম্বারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্বারক সই করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) ঢাকা চেম্বারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার শ্রীলংকার ‘হিল্টন কলম্বো রেসিডেন্স’ হোটেলে শ্রীলংকা সফররত ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সিলন চেম্বার অব কমার্স-এর এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীলংকার শিল্প ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী সুনীল হন্দুন্নেত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বার সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, সার্কভুক্ত দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এখনও তা কাঙ্খিত মাত্রায় পৌঁছায়নি। তবে দু’দেশের বেসরকারিখাতের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে দু’দেশের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সই করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের লজিস্টিক অবকাঠামো, পর্যটন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা, নির্মাণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানী, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্য এবং তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে শ্রীলংকার উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসতে পারেন। সেই সাথে বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, তৈরি পোশাক, পাদুকা, ইলেকট্রনিক্স, পাটজাত পণ্য আমদানির জন্য শ্রীলংকার উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি।

এছাড়া সমুদ্র অর্থনীতি, গভীর সমুদ্রে মৎস আহরণ এবং বন্দর ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে শ্রীলংকার অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহায়তা বাংলাদেশের এখাতে দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি অভিমত জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে সিলন চেম্বারের চেয়ারম্যান ডুমিন্ডা হুলানগামুয়া বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে শ্রীলঙ্কার অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সার্কভুক্ত দেশদুটোর মধ্যে বাণিজ্যিক পরিসংখ্যান পারস্পরিক বাণিজ্যের প্রকৃত সম্ভাবনার প্রতিফলন ঘটায় না, তবুও এখনই সময় এসেছে পারষ্পারিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির। বাংলাদেশের বেসরকারিখাতকে অত্যন্ত ব্যবসা বান্ধব ও সহনশীল হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের শ্রীলঙ্কার সম্ভাবনাময় বিভিন্ন খাতে, বিশেষ করে পর্যটন এবং লজিস্টিক খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে শ্রীলংকার শিল্প ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী সুনীল হন্দুন্নেত্তি বলেন, শুধুমাত্র বাণিজ্যিক সুবিধা নয়, আঞ্চলিক অগ্রগতির স্বার্থ অর্জনের জন্য দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, দু’দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগে প্রচুর সম্ভবনা থাকলেও তা কাজে লাগানো যায়নি। দু’দেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য টেক্সটাইল, ওষুধ, জাহাজ নির্মাণ এবং ডিজিটাল পরিষেবা প্রভৃতি খাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী শ্রীলংকার উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদানে তার সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্যদিকে বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের শ্রীংলকায় বিনিয়োগে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা প্রদানে সে দেশের সরকার বদ্ধ পরিকর।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। তিনি বলেন, তরুণ দক্ষ মানবসম্পদ এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহ বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীরদের জন্য অপার সম্ভবানার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। দুদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে পিটিএ সইয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন। সেই সাথে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, সমুদ্র অর্থনীতি, তথ্য-প্রযুক্তি, আর্থিক খাত, পর্যটন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং লজিস্টিক ব্যবস্থাপনায় দুদেশের সমন্বিত বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর তিনি জোর দেন তিনি।

এছাড়াও অনুষ্ঠান চলাকালে, ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ৯০টি শ্রীংলকান ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির মধ্যকার ২০০টি বিটুবি ম্যাচ-মেকিং অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দুদেশের উদ্যোক্তাবৃন্দ নিজেদের ব্যবসা ও বিনিয়োগ বিষয়ক তথ্য আদান-প্রদানের সুযোগ পান, যা ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

সারাবাংলা/আরএস

ডিসিসিআই ও সিলন চেম্বার সমঝোতা স্বারক সই