কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় ৫ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি বিশা (৬০) নামে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সালিশ বৈঠকে অভিযু্ক্ত বৃদ্ধকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে ধর্ষণের ‘সমঝোতা’ করেছেন গ্রামের মাতব্বররা ।
ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নে। তবে গ্রাম্য মাব্বররা বলছেন, ‘এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।’
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১১ জুন) সকালে ওই বৃদ্ধ ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিশুর মা জানিয়েছেন, ‘‘তার মেয়েকে প্রতিবেশি দাদা বৃদ্ধ বিশা তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে মেয়ে খুঁড়িয়ে খুড়িয়ে বাড়ি ফিরে। জানতে চাইলে মেয়ে জানায় বিশা দাদা খারাপ কাজ করেছেন। বিষয়টি গ্রামের মুরুব্বিদের জানালে পরেরদিন রাতে বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে বৃদ্ধকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে মাতব্বররা সালিশ শেষ করেন।’’
সালিশ বৈঠকে থাকা স্থানীয় ইউপি সদস্য মতিউর রহমান লিটন হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা করতে বলেছিলাম। তারা থানায় যাননি। তবে সালিশে চড়-থাপ্পড় মেরে মিমাংসা করেছিল অভিযুক্ত ব্যক্তির ভাই-ভাতিজারা। আমি শুধু উপস্থিত ছিলাম।’
সমাজপ্রধান রহিম মন্ডল বলেন, ‘সামাজিকভাবে আমরা একটা মিমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। সেখানে অভিযুক্তকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়েছিল। আমি তাদেরকে মামলাও করতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা তা করেননি।’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, ‘শিশুকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
পাটিকাবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এস আই) নুরনবী বলেন, ‘ভোক্তভোগী শিশুকে হাসপাতালে দেখে এসেছি। চিকিৎসা শেষে পরিবারকে থানায় আসতে বলা হয়েছে।’
