Tuesday 17 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিএনপির প্রস্তাবের দিকেই হেলে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৭ জুন ২০২৫ ২৩:১৯ | আপডেট: ১৮ জুন ২০২৫ ০০:২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে বিএনপির প্রস্তাবের দিকেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস হেলে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

আদিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ও ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম বিএনপির দিকে ঝুঁকে যাওয়ায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি জানান, আস্থাভোট ও অর্থবিল ছাড়া দলের সদস্যরা সংসদে দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন বলে বৈঠকে ঐকমত্য হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এনসিপির এই সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, ‘কোন প্রক্রিয়ায় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হবে তা কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছে এনসিপি।’ একটি দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আলোচনায় সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিএনপির প্রস্তাবের দিকেই প্রধান উপদেষ্টা হেলে যাচ্ছেন।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে ও ঈদের আগে প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা নিয়ে বৈঠকে প্রশ্ন তুলেছেন জানিয়ে আদিব বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশন চলাকালীন যখন বিদেশে একদলের এক নেতার সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের সময় বিবেচনা করা হয়, তখন সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়।’

ঐকমত্য কমিশন নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদিব বলেন, ‌‘ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে ৩০টি রাজনৈতিক দলকে ডাকা হচ্ছে। সেখানে কাদের কতটুকু সাংগঠনিক কাঠামো আছে, তাদের নিবন্ধন আছে কিনা, কোন পদ্ধতিতে ডাকা হচ্ছে, সেসব বিষয় আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে বলেছি, কাদের এখানে ডাকা হচ্ছে? সেখানে কি কোনো একটি দলের সুপারিশে ডাকা হচ্ছে কি না? আমরা দেখি, ঐকমত্য কমিশনে আসা অনেক দলের স্পষ্ট কোনো বক্তব্য থাকে না। শুধু একটি দলের প্রতি তাদের হ্যাঁ-না বলার থাকে। যখনই বিপরীত কোনো বক্তব্য থাকে, তখন হট্টগোল করে।’

আদিব বলেন, ‘আমরা বলেছি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কোন পদ্ধতিতে এসব দলকে বাছাই করেছে- সেটা স্পষ্ট করতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে হয়নি, এখানে পেশাজীবী জনতার একটা বড় অংশগ্রহণ ছিল, যাদের কোনো প্রতিনিধি নাই। পাশাপাশি এখানে ছাত্রদের বড় অংশগ্রহণ ছিল। সুতরাং, আমরা মনে করি, এখানে যাদের ডাকা হয়েছে, তারা সারাদেশের জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসতে পারে না। কারণ, শুধু রাজনৈতিক দলগুলো যদি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসতে পারত, তাহলে আপনারা দেখেছেন ভোটের আগে ৬৪ দল, ৫৬ দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার পতনের আন্দোলন করেছে, কিন্তু তারা কিছুই করতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‌‌‘আমরা মনে করি, গণঅভ্যুত্থানে তিনটি অংশীদার— রাজনৈতিক দল, জনতা ও শিক্ষার্থী। সেক্ষেত্রে কিছু রাজনৈতিক দলকে ডাকা হয়েছে, কিছু দলকে ডাকা হয়নি। কোন পদ্ধতিতে ঢাকা হয়েছে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা আমরা চেয়েছি।’

সারাবাংলা/এফএন/পিটিএম

আরিফুল ইসলাম আদিব। এনসিপি টপ নিউজ প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হেলে যাচ্ছেন