Saturday 12 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটে ২০ শতাংশ প্লাস্টিক কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত: বিপিজিএমইএ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৮ জুন ২০২৫ ১৬:৪৩ | আপডেট: ১৮ জুন ২০২৫ ১৮:১০

বুধবার রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে বিপিজিএমইএ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি সামিম আহমেদ – (ছবি : সংগৃহীত)

ঢাকা: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের কারণে গত দেড় বছরে প্লাস্টিক শিল্পের ৬ হাজার কারখানার মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) সভাপতি সামিম আহমেদ।

তিনি বলেন, এই ২০ শতাংশের মধ্যে অধিকাংশই বন্ধ হয়ে গেছে, বাকিগুলো বন্ধের পর্যায়ে রয়েছে।

বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর পল্টন টাওয়ার-এ বিপিজিএমইএ কার্যালয়ে প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ বাজেটের ওপর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন দাবি করেন। সংগঠনের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমাদের শিল্প কোভিড-১৯ সময়ে ক্ষতির মুখে পড়েছিল। অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনও বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। এখন নতুন করে কোভিড আবার শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ আরও শঙ্কা তৈরি করেছে। যুদ্ধের ফলে এলএনজিসহ অন্যান্য কাঁচামাল আমদানির খরচ বাড়বে, এতে আবারও ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের প্লাস্টিক খাত।

তিনি বলেন, প্লাস্টিক শিল্প বর্তমানে দেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত। এই খাতে দক্ষতা ও উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যন্ত্রপাতি ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। অথচ শুল্ক ও ভ্যাট জটিলতার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান নতুন যন্ত্রপাতি আমদানিতে নিরুৎসাহিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেটে অন্তর্ভূক্তির জন্য সংহঠনের পক্ষ থেকে ১৫টি সংশোধিত প্রস্তাব তুলে ধরে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে বিপিজিএমইএ’র ৮টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উপেক্ষা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে রাজস্ব আদায় প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বিগত ১০ বছর যাবৎ বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। এমতাবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারকে বাজেট বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে। রাজস্ব আয় বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। সরকারকে তাই ভ্যাট/ট্যাক্স নেটওয়ার্ক বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। বিপিজিএমইএ মনে করে- কর ব্যবস্থাকে ব্যবসাবান্ধব করার পাশাপাশি করযোগ্য বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত সকল ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে আয়কর এবং মূসকের আওতায় আনার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন বাণিজ্য ও পেশাজীবি সংগঠন এবং লাইসেন্স ও নিয়ন্ত্রণকারী সরকারি প্রতিষ্ঠানকে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন।

সারাবাংলা/আরএস

প্লাস্টিক শিল্প বিপিজিএমইএ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর