ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় তিন নারীসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- রামপুরার সুমি আক্তার (৩৫), কদমতলীর রুহেনা আক্তার (২১), সবুজবাগের তানিয়া (২২) ও মহাখালীর মুন্না (১৯)।
বুধবার (১৮জুন) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহ ৪টি ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এর পর পরিবারের কাছে মরদেহগুলো বুঝিয়ে দেয় পুলিশ।
পিরোজপুর সদর উপজেলার মনেজ হাওলাদারের মেয়ে সুমি আক্তার। বর্তমানে স্বামী শহিদুল ইসলামের সাথে রামপুরা পূর্ব হাজীপাড়া ঝিলপাড়ে একটি বাসায় থাকতেন সুমি।
রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খান আব্দুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে রামপুরার ওই বাসা থেকে সুমির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষ মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। পারিবারিক কলোহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে সুমি আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে, বরগুনার আমতলী উপজেলার তাজউল্লাহর মেয়ে রুহেনা আক্তার। স্বামী হামিদুল ইসলামকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার পাগলা এলাকায় থাকতেন। কদমতলী এলাকার ইগুলু কোম্পানিতে চাকরি করতেন রুহেনা।
কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোছাম্মৎ নুসরাত জাহান বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা ম্যাচ শ্রমিক কলোনির ২২ নম্বর রোডে সিয়াম রোলিং ফ্যাক্টরির সামনে রাস্তায় ট্রাক এবং অটোরিকশা সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যায় রুহেনা। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’
এদিকে সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফাতেমা জানান, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে মুগদা হাসপাতাল তানিয়া নামে এক যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। তবে গলায় কোনো দাগ নেই। তবে তার বাম হাতের কব্জিতে দুই ইঞ্চি পরিমাণ কাটা জখম রয়েছে।
তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। তানিয়ার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবার নাম আজমল হক। বর্তমানে সবুজবাগ মাদারটেক বাগানবাড়ি এলাকার একটি বাসায় থাকতেন।
অপরদিকে, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মহাখালীর আদর্শনগর এলাকার বাসায় গলায় ফাঁস দেয় মুন্না নামে এক যুবক। দেখতে পেয়ে স্বজনরা তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে সেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মওদুদ কামাল জানান, মৃত মুন্নার বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ডামুড্ডা উপজেলায়। তার বাবার নাম ইয়াসিন মিয়া। মহাখালী আদর্শনগর এলাকায় থাকতো। এবং বাসের হেল্পারের কাজ করতো মুন্না।