ঢাকা: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বেশি কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে ‘ওয়াকআউট’ করেছেন বাংলাদেশের কমিসউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও গণফোরামসহ কয়েকটি দলের প্রতিনিধিরা।
বুধবার (১৮ জুন) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার তৃতীয় দিন এ ঘটনা ঘটে।
সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর তিনজন কথা বলেছেন। আমাদের একজন কথা বলতে গেলে তাকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করেছি। ওনারা সেটা নোট নিয়েছেন। তাই আমরা সংলাপে ফিরে যাচ্ছি।’
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘‘আমরা যখন কথা বলেছি তখন আমাদের থামিয়ে দেওয়া হয়। জামায়াতে ইসলামী অপ্রাসঙ্গিক কথা বলছিল, তখন আমি বললাম এটা প্রাসঙ্গিক নয়। তখন তিনি বলেছেন, ‘আপনি কতজন লোককে প্রতিনিধিত্ব করেন’।’’
জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের বক্তব্য শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বক্তব্য দেওয়া শুরু করলে প্রথমে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সংলাপস্থল থেকে বের হয়ে যান এবং ক্ষুব্ধ স্বরে বলতে থাকেন, ‘এখানে কীসের সংলাপ হচ্ছে, কার সঙ্গে সংলাপ করবো। তারা যা ইচ্ছা তাই করছে।’
তখন তাকে জড়িয়ে ধরে সংলাপস্থলে যাওয়ার অনুরোধ করেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম।
তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার আবারও তাদের সম্মেলন কক্ষে নিয়ে যান।