ইরান ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে এক সপ্তাহ না পেরোতেই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা নিয়ে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইরানের নিরবচ্ছিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে গিয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। বর্তমান গতিতে খরচ হতে থাকলে মাত্র ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যেই তা বিপজ্জনকভাবে কমে যাবে।
বুধবার (১৮ জুন) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ যদি বর্তমান গতিতে খরচ হতে থাকে, তাহলে মাত্র ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যেই তা বিপজ্জনকভাবে কমে যাবে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানায়, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করতে ব্যবহৃত অ্যারো মিসাইলের মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ইরান থেকে ধেয়ে আসা দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর সক্ষমতাও ইসরায়েলের কমে যেতে পারে।
একজন শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ওয়াশিংটন কয়েক মাস ধরেই বিষয়টি অবগত এবং ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তি জোরদার করতে সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূমি, নৌ ও আকাশ—তিন ক্ষেত্রেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে। তবে এতে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ সরবরাহও চাপের মুখে পড়ছে।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা প্রকল্পের পরিচালক টম কারাকো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল কেউই সারাদিন বসে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে পারে না। ইসরায়েল ও তাদের মিত্রদের আরও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর খেলায় বসে থাকা যাবে না।’
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা “যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত ও সজ্জিত।” তবে গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম সংক্রান্ত বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
আইডিএফ কর্মকর্তারা মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তারা আগামী এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যেই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা ধ্বংসে তাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে। এখন পর্যন্ত আইডিএফ দুটি প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে বোমাবর্ষণ করেছে। আইডিএফ জানায়, তেহরানের কাছে অবস্থিত ভূগর্ভস্থ ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনাটি এখনো লক্ষ্যবস্তু হয়নি, তবে তা তাদের ‘টার্গেট ব্যাংক’-এ রয়েছে।