ঢাকা: আর্থিক সংকটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার ভূঁইগড় এলাকার মেহেরুন আফরোজার পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু তার পাশে দাঁড়িয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
আফরোজার বাবা বাবা মোমিনুর রহমান খুবই সামান্য বেতনে বেসরকারি চাকরি করেন। মা কামরুন্নাহার বেগমও একজন গৃহিণী। মোমিনুর-কামরুন্নাহার দম্পতির তিন সন্তান। এরমধ্যে দুই মেয়ে ও এক ছেলে। ছোট মেয়েটি শারীরিক প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থী। একমাত্র ছেলেও স্থানীয় একটি কলেজের শিক্ষার্থী। একজনের আয়ে চলা সংসারে অভাব অনটন লেগেই ছিল। কিন্তু মোমিনোরের স্বপ্ন মেধাবী সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করা। তাই আত্মীয় স্বজনদের কাছে ধার কর্জ করেও সন্তানদের পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
আফরোজা এইসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় তার মেধাক্রম হয় ২১০। অভাবের কারণে আত্মীয়-স্বজনরা মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না করে বিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয়।
নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষকদের পরামর্শে আজ বৃহস্পতিবার সকালে দেখা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সঙ্গে। আফরোজার সঙ্গে কথা বলে তার পরিবারের অবস্থা জেনে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহয়তা করেন।
এই সময় জেলা প্রশাসক মেধাবী আফরোজার কাছে জানতে চাই তার ভবিষ্যৎ স্বপ্ন কি? উত্তরে মেয়েটি জানান, বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার হতে চান সে। ডিসি হওয়ার স্বপ্নের কথাও জানান আফরোজা।
আফরোজা যেন তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেন এ জন্য তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।