ঢাকা: হাজতখানা থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নেওয়ার সময় মো. শরিফুল ইসলাম নামে এক হত্যা মামলার আসামি পালিয়ে গেছেন। পালানোর দৃশ্যটি ধরা পড়েছে আদালতের সিসি ক্যামেরায়।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
শরিফুল রাজধানীর খিলগাঁও থানার শিশু জিসান হোসেন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। তিনি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার হরিপুর গ্রামের শফিক আহমেদের ছেলে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ পুলিশের উপ-পরিদর্শক রিপন মিয়া বলেন, ‘ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ছিল। এ জন্য শরিফুল ও শাহিন মণ্ডলকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় ‘
সকাল ১১টার পর তাদের এজলাসে তোলা হয়। সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের আদালতের দ্বিতীয় তলা থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় নিচ্ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় নিচ তলা থেকে পালিয়ে যান শরিফুল।
আদালতের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, চার আসামিকে সঙ্গে নিয়ে হাজতখানার দিকে যাচ্ছিলেন এক পুলিশ সদস্য। এর মধ্যে শরিফুল সবার সামনে ছিলেন। তাদের পেছন থেকে দড়ি ধরে হাঁটছিলেন ওই কনস্টেবল। আদালত ভবনের নিচে সিঁড়ির কাছে পৌঁছালে কোনোভাবে হাতকড়া খুলে দৌড় দেন শরিফুল। পরে তিনি পাশের একটা আদালতে যান। সেখানে গিয়ে গায়ের সাদা শার্ট খুলে হাতে নেন। লাল টি-শার্ট পরা অবস্থায় আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান।
ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের এডিসি মাইন উদ্দিন বলেন, ‘আসামির হাতে হাতকড়া ছিল। তবে ধাতব কিছু দিয়ে হাতকড়া লুজ করে কৌশলে খুলে ফেলেন তিনি। পরে পুলিশ কনস্টেবলের হাতে আঘাত করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আমরা আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে নতুন করে মামলা দেওয়া হবে।’