ঢাকা: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে বাধ্য করতে বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের নাম জোরেশোরে আলোচিত হয় মূলত রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে। রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে অবশ্যই উদ্যোগী হতে হবে। এদেরকে নাগরিক হিসেবে মর্যাদা দিয়ে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে বাধ্য করতে হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ রোহিঙ্গাদের নানা ধরণের দুর্যোগ যেমন ক্ষুধা, আবাস, বিভিন্ন রোগের প্রাদূর্ভাব ইত্যাদি মোকাবেলায় যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। অনেক সংকটের মতোই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিদ্যমান রোহিঙ্গা সংকট নিরসনের জন্য কাজ করতে হবে এবং কার্যকর রাজনৈতিক সংলাপের জন্য সম্মিলিতভাবে জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘বাংলাদেশ বিএনপি বিশ্ব শরণার্থী দিবসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাসহ বিশ্বের সকল শরণার্থীদের সংকট মোকাবেলায় এগিয়ে যেতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। বিশ্ব শরণার্থী দিবসে আমি বিশ্বের সকল শরণার্থীদের মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের প্রতি আন্তরিক সংহতি জ্ঞাপন করছি। সহিংসতা এবং নিপীড়নের কারণে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত বিশ্বব্যাপী ১২ কোটি মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। জাতিসংঘ ক্রমবর্ধমান সংখ্যাটিকে ‘বিশ্বের রাষ্ট্র সমুহের উপর ভয়ঙ্কর অভিযোগ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। একাধিক শরণার্থী সংকটের মূল কারণগুলি মোকাবেলা করার রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে বেশির ভাগ বাস্তচ্যুত ব্যক্তি ও পরিবারের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা কঠিন হয়ে পড়ে।’’
তিনি বলেন, ‘‘পৃথিবীর দেশে দেশে উদ্বাস্ত সমস্যা আজও ভয়াবহ ও অমানবিক। বিশ্ব নাগরিকদের সহজাত কিছু অধিকার রয়েছে, যেমন-মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য আশ্রয়, নিরাপত্তা এবং এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার স্বাধীনতাসহ মানবিক মর্যাদা। বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমানভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা খুবই আতঙ্কজনক। শরণার্থীরাও বিভিন্ন দেশে ক্ষুধা ও বেকারত্বের তাড়নায় অপরাধের সঙ্গে জড়িত হওয়ার কারণে স্থানীয় সংস্কৃতির জন্য হুমকি হয়ে পড়ায় নতুন নতুন সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে।’’