Wednesday 09 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বেরোবি শিক্ষক মাহামুদুল হকের গ্রেফতারের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২০ জুন ২০২৫ ১৪:২৮ | আপডেট: ২০ জুন ২০২৫ ১৪:৩৪

শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন।

রংপুর: মিথ্যা মামলায় কারাগারে যাওয়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহামুদুল হককে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২০ জুন) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া চত্ত্বরে মাহামুদুল হকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করে নিজ বিভাগ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ। এতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, হয়রানিমূলক মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহমুদুল হককে গ্রেফতার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাই। ষড়যন্ত্রের কারিগরকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাই।

বিজ্ঞাপন

রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-ছাত্রীদের পবিত্র চেতনার উপর ভর করে কিছু নরপিশাচ মেতেছে তাদের নৃশংসতায়। ২ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন এক ব্যক্তি অথচ ১০ মাস পর করা হলো হত্যা মামলা। বাদী জানেন না কোন কাগজে সই করেছেন তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ ৫৪ জনকে আসামি করা হয়েছে এই মেটিকুলাস হত্যা মামলায়। ৫৪তম আসামি করা হয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহামুদুল হককে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পদবী গোপন করা হয়েছে জনাব মাহামুদুল হকের ঠিকানায়। ৫৪ জনের মধ্যে কেবলমাত্র মাহামুদুল হককে গ্ৰেফতার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা কাদের চাহিদা পূরণ করেছে? এই মেটিকুলাস ডিজাইন যে বা যারা করেছে তাদেরকে বের করে আইনের আশ্রয়ে নিয়ে আসার আহ্বান করছি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে তাকে নিজ বাসা নগরির ধাপ ইঞ্জিনিয়ার পাড়ার বাসা থেকে মহানগর হাজিরহাট থানার পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে তোলেন। আদালত তার জামিন মঞ্জুর না করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মাহমুদুল হককে গ্রেফতারের খবর জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা। গতকাল রাতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা হাজিরহাট থানায় গিয়ে তাকে গ্রেফতারের কারণ জানতে চান ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শাহীন আলম বলেন, মাহমুদুল হক জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ফেসবুকে আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও কোটা সংস্কারের আন্দোলনের পক্ষে সোচ্চার অবস্থান নিয়েছিলেন। আন্দোলনের পক্ষের শক্তিকে মিথ্যা, ভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে, এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।

সারাবাংলা/এনজে

গ্রেফতার প্রতিবাদে মানববন্ধন বেরোবি শিক্ষক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর