ঢাকা: সবজি ও মাংসের বাজারে এসেছে স্বস্তি। ৪০ টাকা কেজিতে এখন অধিকাংশ সবজি মিলছে। মুরগির কেজিও ১৫০ টাকার ঘরে। আর ডিমের ডজন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।
তবে বাজারে চালের দাম বেশি। দাম বেশি রয়েছে মাছেরও। শুক্রবার (২০ জুন) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মহাখালী, ফার্মগেট ও মিরপুরের কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজি এখন ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো সবজি ৬০-১২০ টাকা কেজিতেও মিলছে। বাজারে শশা এখন ৩৫-৫০ টাকা ও লেবু প্রতি হালি ২০ টাকারও কমে পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের পর থেকে রাজধানীর বাজারে সবজির দাম নিম্নমুখী।
এদিকে, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় মিলছে। আর ডিমের ডজন এখন ১২০-১৩০ টাকা। ঈদুল আজহার কোরবানি মাংসও রয়েছে বেশিরভাগ ঘরে। যে কারণে ডিম-মুরগির চাহিদা কম।
ছবি: সংগৃহীত
বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, বোরোর নতুন চাল আসার পর রাজধানীর বাজারগুলোতে চালের দাম কিছুটা কমেছিল। তবে সে স্বস্তি বেশি দিন টিকেনি। ঈদের পর এখন খুচরা বাজারে চালের দাম ফের বাড়ছে। বাজারে মিনিকেট ও অন্যান্য চালের দাম বেড়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন মিলগেটে ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি চালের দাম ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর ঈদের আগের চেয়ে এখন প্রতি কেজি চাল ২-৫ টাকা টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এখন খুচরায় প্রতি কেজি মোটা চাল (বিআর-২৮, পারিজা) মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬২ টাকা দরে। সরু চালের মধ্যে জিরাশাইলের কেজি ৭৪-৭৮ টাকা এবং মিনিকেট ৭৬-৮০ টাকা। কাটারিভোগ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা কেজিতে।
বাজারে গরুর মাংসের দাম এখন ৭৮০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বেশিরভাগ মাছ ৩০০-৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা, কাতল ৩৪০-৪০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০-৮০০ টাকা, টেংরা ৬০০-৭০০ টাকা, চাষের শিং ৫০০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৫০-২২০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৬০০-৭০০ টাকা, পোয়া ৪০০ টাকা, আইড় ৭০০-৭৫০ টাকা, দেশি কৈ ৮০০-১০০০ টাকা ও দেশি শিং ১০০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
