ঢাকা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দৃশ্যত কার্যকর সংস্কার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১০ দফা প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় সংস্কার জোট।
শনিবার (২১ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত ‘জুলাই সনদ- সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব প্রস্তাব রাখা হয়।
জাতীয় সংস্কার জোটের আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত মেজর আমিন আহমেদ আফসারী প্রস্তাবগুলো ঘোষণা করেন। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে চারটি জোট ও ৩৫টি রাজনৈতিক দল। পর্যায়ক্রমে আরও দল যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
১০ দফা প্রস্তাবগুলো হলো-
- অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারের মধ্য দিয়ে সংস্কার শুরু করতে হবে। স্পিরিট বা চেতনা অযোগ্য বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে উদ্যোমী সংগ্রামী ও জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের চেতনা ধারণকারী ব্যক্তিদের নিয়ে সরকার পুনর্গঠন,
- কালক্ষেপণ না করে আগামী ৫ আগস্ট বিজয়ের বর্ষপূর্তির আগেই সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করা,
- এই অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ নয়, তারা জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের সরকার এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার সরকার বলে সুস্পষ্ট ঘোষণা দেওয়া,
- অনতিবিলম্বে সংস্কার ও নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করা,
- আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও পুনর্গঠন নিশ্চিত করা,
- জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আহত সংগ্রামী বীরদের চিকিৎসা, নিরপত্তাসহ সব বিষয়ে পূর্ণ দৃশ্যত সহযোগিতা প্রদান নিশ্চিতকরণ,
- শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে উদ্যোগ দেওয়া,
- সশস্ত্র বাহিনীর সংস্কার ও আধুনিকায়নে উদ্যোগ গ্রহণ,
- সব অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয়ে রাজনৈতিক দলসহ (অনিবন্ধিত) বৈষম্যবিহীনভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ও
- নির্বাচনের তিন মাস আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে অন্তর্বর্তী সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে জাতীয় নির্বাচন বির্তকিত হতে পারে।
জাতীয় সংস্কার জোটের আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত মেজর আমিন আহমেদ আফসারী বলেন, জুলাই সনদ চব্বিশের শহিদদের রক্তে লেখা গুরুত্ব একটি জাতীয় দলিল হিসেবে এসব সংস্কার গণ্য করা হবে। পবিত্র এই দলিলটি সংস্কার, বিচার-সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পূর্বশর্ত ও জাতীয় স্বার্থের রক্ষা কবজ হিসেবে ইতিহাস হয়ে থাকবে।