যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে সম্প্রতি একটি দ্বিদলীয় প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে, যা পাস হলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইরানের ওপর বিমান হামলা চালানোর আগে কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে। এর লক্ষ্য হলো প্রেসিডেন্টের যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতাকে সীমিত করা।
শনিবার (২১ জুন) মিডিল ইস্ট আই এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী ইসরায়েলের পক্ষে ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে জড়ালে তা কেবল মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন সম্পদের ওপর ইরানের পালটা হামলাকেই উসকে দেবে না, বরং যুক্তরাষ্ট্রকে বছরের পর বছর ধরে চলা আরও একটি মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলবে।
আশ্চর্যজনক হলেও, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার তিনটি নির্বাচনি প্রচারণাতেই ‘যুদ্ধ নয়’ নীতির পক্ষে ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে শোনা যাচ্ছে যে, তিনি ইরানের একটি পারমাণবিক স্থাপনায় ৩০ হাজার পাউন্ডের “বাঙ্কার-বাস্টার” বোমা ফেলার বিষয়টি বিবেচনা করছেন।
রিপাবলিকান দলের কট্টর হস্তক্ষেপবিরোধী নেতা টমাস ম্যাসি এবং সিলিকন ভ্যালির আওতাধীন এলাকার ডেমোক্র্যাট রু খান্না এই প্রস্তাবের সমর্থক। তারা আশা করছেন, আগামী সপ্তাহে যুদ্ধ ক্ষমতা সংক্রান্ত এই প্রস্তাবের পক্ষে উভয় দলের আইনপ্রণেতাদের সমর্থন আদায় করতে পারবেন।
ম্যাসি এক বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে বলেন, ‘সংবিধান নির্বাহী শাখাকে এমন কোনো সার্বভৌম জাতির বিরুদ্ধে একতরফাভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করার অনুমতি দেয় না, যারা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা করেনি।’ এই উদ্যোগ সংবিধানের ক্ষমতা বিভাজনের মূল নীতিকে তুলে ধরে, যেখানে যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে ন্যস্ত।