ফরিদপুর: ফরিদপুরে জাল জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অভিযোগে কনের মা ও সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিস্ট্রারকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) মো. কামরুল হাসানকে (৪৮) বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে একই অপরাধে বিকালে শহরের বায়তুল আমান এলাকায় কনের মাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শুক্রবার (২০ জুন) রাত ৯টার দিকে শহরের চকবাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন মার্কেটের দোতলায় অবস্থিত কাজী অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইসরাত জাহান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জুন শহরের বায়তুল আমান এলাকায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে জাল জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে বয়স বাড়িয়ে বাল্যবিবাহ দেওয়া হয়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বিকেলে কনের বাড়িতে গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিকাহ রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা যায়, বিভিন্ন অভিযোগে এর আগে নিকাহ রেজিস্ট্রার কামরুল হাসানের নিবন্ধন স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে তিনি উচ্চ আদালত থেকে এক আদেশের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। ওই আদেশ গত ৮ জুন পর্যন্ত কার্যকর ছিল।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইসরাত জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এক কিশোরীর জাল নিবন্ধনের মাধ্যমে বয়স বেশি দেখিয়ে বাল্য বিয়ে দেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং সত্যতাও পাওয়া গেছে। যে কারণে কনের মা ও কাজী দুইজনকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া কাজীর এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর আমরা একটি চিঠি পাঠাবো কাজীর নিবন্ধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’