ঢাকা: ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন করল ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন। যোগ অনুষ্ঠান শুরুর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলাদেশে দায়িত্বরত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভাগ করা ত্যাগের উপর ভিত্তি করে তৈরি সম্পর্কের মতো যোগব্যায়াম দুই দেশের জনগণের মধ্যে সুস্থতা এবং সম্প্রীতির যৌথ সাধনার আরেকটি ঐক্যবদ্ধ বন্ধন হবে।
শুক্রবার (২১ জুন) সকাল ৭টায় ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন চত্বরে যোগ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক যোগ উৎসাহী অংশগ্রহণ করেন, যারা সাধারণ যোগ প্রোটোকলের উপর ভিত্তি করে একটি অনুশীলন অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের অনেক বিশিষ্ট যোগ প্রতিষ্ঠানও যোগের উপকারিতা তুলে ধরে যোগ প্রদর্শনী উপস্থাপন করেন। যোগ উৎসাহী এবং প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিল্পী, গণমাধ্যমকর্মী, পেশাদার, পণ্ডিত এবং যুবক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ৭০ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ যোগ অনুশীলনকারীদের সম্মানিত করা হয়।
শুভেচ্ছা প্রণয় ভার্মা বক্তব্যে বলেন, ‘যোগব্যায়াম বর্তমানে বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের জীবনের একটি পথ হয়ে উঠেছে। যোগব্যায়াম মানুষকে সীমান্ত, সংস্কৃতি এবং বিশ্বাসের বাইরেও সংযুক্ত করেছে। বিশ্বজুড়ে এটির সার্বজনীনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।’
হাই কমিশনার বলেন যে, ‘এই বছরের যোগ দিবসের প্রতিপাদ্য “এক পৃথিবী, এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ”- যা ব্যক্তিগত সুস্থতা এবং বিশ্বব্যাপী স্থায়িত্বের মধ্যে সংযোগকারী হিসেবে যোগের ভূমিকার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘এই বছরের আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনকালে আমাদের দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আত্মীয়তার স্থায়ী বন্ধন, শক্তিশালী ঐতিহাসিক এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক ১৯৭১ সালকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভাগ করা ত্যাগের মতো যোগব্যায়াম দুই দেশের জনগণের মধ্যে সুস্থতা এবং সম্প্রীতির বন্ধন হতে পারে।’
এ সময় বিশিষ্ট অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘শরীরের সঙ্গে মনের যোগ রয়েছে। শরীরের সঙ্গে মনকে ভাল রাখতে যোগ ব্যায়ামের বিকল্প নেই।’
ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মিসেস অ্যান মেরি জর্জ তার বক্তব্যে বলেন, ‘এটি আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের ১১তম বার্ষিকী। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তার ভাষণে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস ঘোষণার প্রস্তাব করেন। এর পরপরই ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে প্রতি বছর ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে উদযাপনের ঘোষণা দেয়। তখন থেকেই এই দিবস পালিত হচ্ছে।’