ঢাকা: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান বলেছেন, সামরিকভাবে শক্তিশালী কোনো মুসলিম রাষ্ট্রকে টিকে থাকতে দিতে চায় না ইউরোপ-আমেরিকা। ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে সেই পুরনো ক্রুসেড আধুনিক রূপে আজও তারা জারি রেখেছে। ইসরায়েলের ধ্বংসের সঙ্গে সঙ্গে তাদের পতনও অনিবার্য, ইনশাআল্লাহ।
শনিবার (২১ জুন) সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘ইসরায়েল পৃথিবী থেকে শান্তি ও মানবতাকে ধ্বংস করছে।’ একই সঙ্গে তারা মুসলিম বিশ্বকে আসন্ন এক মহাযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
হেফাজতের এই দুই শীর্ষ নেতা বলেন, চলমান ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে আমরা গণহত্যাকারী দখলদার জায়োনিস্ট ইসরায়েলের ধ্বংস কামনা করি। মধ্যপ্রাচ্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মার্কিন শাসকগোষ্ঠী সবসময় ইসরায়েলের সব আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। শুধু তাই নয়, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম ও গোয়েন্দা সহায়তাও ইসরায়েলকে দেওয়া হচ্ছে। জার্মানিসহ ইউরোপের কয়েকটি প্রভাবশালী দেশও এই কার্যক্রমে জড়িত বলে তারা দাবি করেন।
নেতারা মনে করেন, ‘ইসরায়েল একা নয়; ইসরায়েলের ভাগ্য সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা ও ইউরোপের মোড়ল দেশগুলোর পতনের সঙ্গে মিশে আছে। ফলে পৃথিবী ক্রমে একটি মহাযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদের দাসত্ব, ভোগবাদিতা ও উদাসীনতা পরিহার করে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে আসন্ন সেই মহাযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। বিবৃতিতে আধুনিক যুদ্ধকৌশল ও সামরিক উৎকর্ষ লাভে মুসলিম বিশ্বকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে আরও এগিয়ে যাওয়ার উপর জোর দেওয়া হয়।
হেফাজতে ইসলাম আরও বলেছে, যখন ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ওপর গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় ইসরায়েল, তখন কথিত মানবতার ধ্বজাধারী আমেরিকা নিশ্চুপ থাকে। আর ইসরায়েল প্রতিরোধের শিকার হলেই নির্লজ্জ ইউরোপ-আমেরিকা “হুক্কাহুয়া রব” তোলে, যার মাধ্যমে তাদের মুখোশ খসে পড়ে। নেতারা বলেন, এরা কখনো বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, বরং বারবার যুদ্ধ ও ধ্বংস ডেকে এনেছে এবং মুসলিম বিশ্বকে পদানত করতে চেয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা পরাজয় বরণ করে পালাতে বাধ্য হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মুসলিম বিশ্বের ওপর বারবার যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইরানকে যুদ্ধে নামতে বাধ্য করেছে আমেরিকা ও ইসরায়েল। ইরানকে দমাতে পারলে অন্যান্য প্রভাবশালী মুসলিম দেশেও আগ্রাসন চালানো হতে পারে। সামরিকভাবে শক্তিশালী কোনো মুসলিম রাষ্ট্রকে টিকে থাকতে দিতে চায় না ইউরোপ-আমেরিকা। ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে সেই পুরনো ক্রুসেড আধুনিক রূপে আজও তারা জারি রেখেছে। ইসরায়েলের ধ্বংসের সাথে সাথে তাদের পতনও অনিবার্য, ইনশাআল্লাহ।”