ঢাকা: গত বছরের জুলাই-আগস্টের প্রেক্ষাপটে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সামগ্রিকভাবে দেশের চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
একই সঙ্গে দক্ষতার সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়ন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে বাজেট বাস্তবায়নে মধ্যমেয়াদী পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
রোববার (২২ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘সিপিডি বাজেট সংলাপ ২০২৫’-এ এমন মন্তব্য করেছে সিপিডি। সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। বক্তব্য রাখেন সংস্থাটির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, আগামী ২০২৫- ২০২৬ অর্থবছরের বাজেট আকারে ব্যতিক্রম। এটি চলতি অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ছোট। এবার ভৌত অবকাঠামোর পরিবর্তে মানুষের ওপর অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে যথাযথ বাজেট বরাদ্দ বা পদক্ষেপের দেখা নেই। তবে বাজেটে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ রয়েছে। এগুলো হলো কর ছাড়, বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ ও প্রণোদনা এবং ক্ষতিকর কার্যক্রমে উচ্চ করারোপ।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট সামগ্রিকভাবে চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারলে জনগণ ও ব্যবসায়ীদের জন্য স্বস্তি আনতে পারত। অন্যদিকে কিছু রাজস্ব পদক্ষেপ বাজেটের মূল প্রতিপাদ্য– ‘একটি সমতাভিত্তিক ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গঠন’– এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট অর্থনৈতিক প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল। এছাড়াও বাজেট পরোক্ষ করের ওপর নির্ভরশীল। এটি বাজেটের মূলদর্শনের সঙ্গে সাংর্ঘষিক। কারণ বাজেটের লক্ষ্য সম্পদ পূর্ণবন্টন। অর্থাৎ ধনীদের কাছ থেকে কর নিয়ে গরীবদের দেওয়া হবে। কিন্তু পরোক্ষ কর বাড়লে দরিদ্রদের ওপর করের বোঝা চাপে।