ঢাকা: বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই ২০২৪-মে ২০২৫) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ০৮ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে মোট ১ লাখ ১১ হাজার ৫ কোটি টাকা অর্থ ছাড় হয়েছে। এটি গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা কম।
পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি জুনের প্রথম ১৫ দিনে ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরের ১১ মাসে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ (২৩ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা)। এর পরেই রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ (১৮ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা) এবং সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ (৯ হাজার ৮৬২ কোটি টাকা)। অন্যদিকে সবচেয়ে কম খরচ করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ (৬৮ কোটি টাকা) এবং দুদক (১ কোটি টাকার কম)।
প্রসঙ্গত: চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি’র আকার হচ্ছে ২ লাখ ২৬ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। এটি মূল বরাদ্দ ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার চেয়ে ৩৮ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা কম। এ প্রেক্ষিতে সংশোধিত এডিপি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে চলতি জুনে আরও ১ লাখ ১৫ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, শেষ সময়ে অতিরিক্ত কাজের চাপ ও অর্থ বরাদ্দ সীমাবদ্ধতার কারণে চলতি জুনে এডিপির পুরো অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হবে না। বিল পরিশোধে বিলম্ব, প্রকল্প মেয়াদ বারবার বাড়ানো এবং বরাদ্দ থাকলেও প্রকৃত চাহিদার ঘাটতির কারণে বাস্তবায়ন হার কম এবং একই কারণে প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ছে বলে মনে করছেন তারা।