ঢাকা: বিদায়ী অর্থবছরের ১১ মাসে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি ও অর্থ ছাড়ের পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। অন্যদিকে আলোচ্য সময়ে যে পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ ছাড় করা হয়েছে, এর প্রায় ৬৮ শতাংশ ব্যয় হয়েছে মূল ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এর সদ্য প্রকাশিত ২০২৫ সালের মে’র প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা যায়। তবে প্রতিবেদনে প্রকাশিত সকল উপাত্ত সাময়িক হিসাব বলে উল্লেখ করেছে ইআরডি।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, বিদায়ী অর্থবছরের ১১ মাস (জুলাই ২০২৪-মে ২০২৫) পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে অনুদান ও ঋণ মিলিয়ে মোট ৫৪৮ কোটি ৮৬ লাখ ৬০ হাজার ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এর বিপরীতে অনুদান ও ঋণ মিলিয়ে মোট অর্থ ছাড় হয়েছে ৫৫৭ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এটি চলতি অর্থবছরের প্রতিশ্রুতির তুলনায় সামান্য বেশি হলেও গত অর্থবছরের চেয়ে ২০ শতাংশ কম।
তথ্য মতে, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১১ মাসে অনুদান ও ঋণ মিলিয়ে বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের মোট প্রতিশ্রুত অর্থের পরিমাণ ছিল ৭৯২ কোটি ৭৬ লাখ ডলার এবং এর বিপরীতে একই সময়ে অর্থ ছাড়ের পরিমাণ ছিল ৭০০ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
ইআরডি’র তথ্য মতে, বিদায়ী অর্থবছরে ১১ মাসে বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি ও অর্থ ছাড়ের পরিমাণ কমলেও বৈদেশিক ঋণ ও সুদ পরিশোধে ব্যয় বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে এ খাতে মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৭৮ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার ডলার (এর মধ্যে মূল ঋণ ২৩৮ কোটি ৩৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং সুদ ১৪০ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার ডলার)। এটি চলতি অর্থবছরে মোট ছাড়কৃত অর্থের ৬৭ দশমিক ৯১ শতাংশ।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে বৈদেশিক ঋণ ও সুদ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৩০৬ কোটি ৮১ লাখ ৩০ হাজার ডলার। সে হিসাবে বিদায়ী অর্থবছরের ১১ মাসে বৈদেশিক দেনা পরিশোধ প্রায় ৭১ কোটি ৬৫ লাখ ডলার বেড়েছে।