ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবফ সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, দেশটির আইনসভা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর সঙ্গে তেহরানের সহযোগিতা স্থগিত করার একটি বিল বিবেচনা করছে। এর কারণ হিসেবে তিনি জাতিসংঘের এই পারমাণবিক সংস্থার ‘অপেশাদার আচরণ’ এবং তাদের ‘রাজনৈতিক হাতিয়ারে’ পরিণত হওয়ার অভিযোগ এনেছেন।
সোমবার (২৩ জুন) মেহের নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গালিবফ জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ প্রকৃতির। তার মতে, ইরান কোনো অপেশাদার কার্যকলাপের পরিকল্পনা করে না। কিন্তু, আইএইএ তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি এবং একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ইরান ততদিন পর্যন্ত আইএইর-এর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার বিল পাসের কথা ভাবছে, যতক্ষণ না তারা সংস্থার পেশাদার আচরণের সুস্পষ্ট গ্যারান্টি পায়।
সম্প্রতি ইসরায়েল কর্তৃক ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের নাতানজ, ফোর্দো এবং ইসফাহানের তিনটি পারমাণবিক সাইটে সামরিক হামলা চালিয়েছে। গালিবফ এই মার্কিন হামলাকে ইসরায়েলি শাসনের কৌশলগত ব্যর্থতার ফল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এ ছাড়াও তিনি এটিকে ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি আমেরিকান যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ইরান এই হামলা সহ্য করবে না। তারা এর উপযুক্ত জবাব দেবে। গালিবফ বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এমন একটি প্রতিক্রিয়া দেব যা জুয়াড়ি ট্রাম্পকে আমাদের প্রিয় দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের কাজটি করার জন্য অনুতপ্ত করবে।’
এদিকে, ইরানের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘তেহরান মার্কিন হামলার প্রতিক্রিয়ায় নিজস্ব বিকল্প ব্যবহার করার অধিকার সংরক্ষণ করে।’