ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে রাশিয়া ৩৬৮ ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৩ জুন) সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর আল-জাজিরা।
ইউক্রেনিয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই হামলায় শহরের বিভিন্ন জেলার আবাসিক এলাকাগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এটি এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বড় ধরনের রাতব্যাপী হামলা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যখন যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের দিকে মনোযোগ, তখন রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া রাতারাতি ৩৫২টি ড্রোন ও ডেকয়, ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং পাঁচটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। যদিও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানোর আগেই প্রতিহত বা জ্যাম করতে সক্ষম হয়েছে।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তাকাচেঙ্কো এই হামলাকে ‘রাজধানীতে আরও একটি বিশাল আক্রমণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, সম্ভবত ড্রোনগুলোর বেশ কয়েকটি ঢেউ ছিল। তিনি টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘রাশিয়ার পদ্ধতি অপরিবর্তিত– যেখানে মানুষ থাকতে পারে সেখানেই আঘাত করা। আবাসিক ভবন, আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পথ– এটাই রাশিয়ান পদ্ধতি।’
জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, এই বড় আকারের হামলায় আবাসিক ভবন ছাড়াও হাসপাতাল, খেলার অবকাঠামো এবং বোমা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি মেট্রো স্টেশনের প্রবেশপথও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী ইহর ক্লিমেনকো টেলিগ্রামে নিশ্চিত করেছেন, কিয়েভের ১০টি জেলার মধ্যে ছয়টিতে এই হামলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।