ঢাকা: বাড়ছে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত প্রতীকের সংখ্যা। সোমবার (২৩ জুন) ইসি সূত্র জানিয়েছে, নতুন দল নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরুর পরপরই প্রতীকের তফসিল (তালিকা) সংশোধনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ইসি। এতে প্রতীকের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবছে কমিশন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রতীকের তালিকাটা আমরা সংশোধন করে ৬৯ থেকে ১০০ উন্নীত করতে চাচ্ছি।’
অন্য এক নির্বাচন কমিশনার জানান, এতে শাপলা, কলম, কলা, চেয়ারের মতো প্রতীকগুলো যোগ হতে পারে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটি বর্তমান তফসিলে নেই। এটাও যুক্ত করতে হবে। কারণ দলটি আদালতের আদেশে নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে।
এদিকে, নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয় ফুল শাপলা প্রতীক হিসেবে পেতে কাড়াকাড়ি চলছে। সম্প্রতি নাগরিক ঐক্য শাপলা প্রতীক চাওয়ার পর জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) প্রতীকটি নিজেদের দেওয়ার দাবি তুলেছে।
শাপলা প্রতীক নিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা তিনটি মার্কার জন্য আবেদন করেছি শাপলা, কলম ও মোবাইল। আমরা আশাবাদী শাপলা মার্কা পাবো এবং তা নিয়ে জনগণের মাঝে কাজ করব।’
তিনি বলেন, ‘দেশের নির্বাচন কমিশনের যে আইন সে আইনগুলো আমরা পর্যালোচনা করেছি। আইনে কোনো ধরনের সমস্যা নাই, আমরা দেখেছি। জাতীয় ফল কাঁঠাল একটি দলের মার্কা হিসেবে আছে। সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা দেখিনি বলে আমরা এ প্রতীকের আবেদন করেছি। জাতীয় প্রতীক কিন্তু কেবল শাপলা নয়; ধানের শীষ, তারকা এগুলো মিলে জাতীয় প্রতীক। সেক্ষেত্রে তারকা ও ধানের শীষ দুটি দলের মার্কা হিসেবে রয়েছে। কোনো ধরনের আইনগত সমস্যা আমরা দেখি না।’
অন্যদিকে, নাগরিক ঐক্যের দফতর সম্পাদক এস এম মহিদুজ্জামান মহিদ এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে আবেদন জমা দিয়েছি। শাপলা ও দোয়েল জাতীয় প্রতীক হওয়ায় এই দুটি প্রতীক দলকে বরাদ্দ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।’
তবে বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের প্রতীকের তালিকায় শাপলা নেই। তবে কমিশন সূত্র বলছে, আইনি কোনো বাধা না থাকলে চূড়ান্ত তালিকায় শাপলা প্রতীক হিসেবে থাকবে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনে তফসিলভুক্ত ৬৯টি প্রতীকের মধ্যে ৫০টি নিবন্ধিত দলের জন্য সংরক্ষিত। আর ১৯টি প্রতীক রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য।