ঢাকা: চাহিদা থাকলেও সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘বোয়েসেল’ ধীর গতিতে মাত্র ২ শতাংশ শ্রমিক ব্রুনাইয়ে পাঠিয়েছে এবং কর্মী পাঠাতে জনপ্রতি ৪-৫ লাখ টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ‘ব্রুনাই রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন’।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সংগঠনটির পক্ষ থেকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)-তে আয়োজিত ‘ব্রুনাই শ্রমবাজারের সংকট ও সিন্ডিকেট দুর্নীতি’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ব্রুনাই রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি ইকরাম চৌধুরী বলেন, ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যোগসাজশে দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের জন্য কৌশলে বায়রা সদস্যদের মৌলিক অধিকার হরণ করে একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান বোয়েসেলের মাধ্যমে ব্রুনাই দারুসসালামে কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে আমরা যারা ব্রুনাই দারুসসালামে বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠাতাম, তারা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হই।
তিনি বলেন, এদিকে ব্রুনাই দারুসালামে প্রচুর কর্মীর চাহিদার বিপরীতে বোয়েসেল মাত্র ২ শতাংশ শ্রমিক প্রেরণে সক্ষম হয়। এ অবস্থায় বোয়েসেলের ধীর গতির কারণে ব্রুনাইয়ের বাজারটি সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশ হারাতে যাচ্ছে রেমিট্যান্স।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জনশক্তি কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগসাজশে ব্রুনাই দারুসসালামে বোয়েসেল একতরফাভাবে শ্রমশক্তি রপ্তানিতে জড়িত হয়েছে। আমাদের রিক্রুটিং লাইসেন্স দেওয়ার আবেদন অস্বীকার করে সরকার নিজেই ব্যবস্থা শুরু করে। এতে আমাদের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে।