ঢাকা: দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লাসহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন ফিরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জামায়াত দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন আদালতের আদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নামীয় দলের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন দলীয় প্রতীকসহ পুনর্বহাল করা হলো।
ফলে, দীর্ঘ আইনি লড়াই ও নিবন্ধন জটিলতার পর দলটি ফের নতুন করে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরেছে। একাত্তরের ভূমিকা ও রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে জামায়াতের নিবন্ধন ২০১৩ সালে বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে গত ৪ জুন দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লার’ সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফেরত দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।
সেদিন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, “জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে আমাদের কাছে একটি আবেদন করেছে যে, তারা চায় তাদের দাঁড়িপাল্লা যে দলীয় প্রতীকটি ছিল, সেই প্রতীকও যেন অন্তর্ভুক্ত হয়। এটা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছি। যে বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া হয়েছে, তার মধ্যে আছে- ‘স্ট্যাটাসকো এনটে’ বলতে কী বোঝায়, অর্থাৎ ২০১৩ সালে জামায়াতের দলীয় নিবন্ধনের সঙ্গে প্রতীক ছিল, সেটি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।”
২০০৮ সালে দলটিকে ১৪ নম্বর দল হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ২০১৩ সালে হাইকোর্টের এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের দলটির নিবন্ধন বাতিল করে সংস্থাটি। এর আগে ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের এক প্রশাসনিক আদেশের দলটির প্রতীক দাঁড়িপাল্লা বাতিল করে ইসি।