Tuesday 24 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নগর ভবনে সংঘর্ষ: আহতদের দেখতে গেলেন ইশরাক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ জুন ২০২৫ ২০:১৬ | আপডেট: ২৫ জুন ২০২৫ ০০:২১

আহতদের দেখতে গেছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে সংঘটিত সংঘর্ষে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে তিনি আহতদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছান। এর আগে দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের দেখে বেরিয়ে আসার সময় ইশরাক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নগর ভবনসহ এর আশেপাশের আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটিয়ে জনগণের দৈনন্দিন জরুরি সেবা কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চালু করা হয়েছে। এই সেবা কার্যক্রম চালু করতে গিয়ে নানা বাধা ও বিঘ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে গত দুই দিন ধরে সেবা দান কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং জনগণ সন্তুষ্টচিত্তে সেবা গ্রহণ করছিল।’ তার অভিযোগ, এই কার্যক্রম তাদের ‘প্রতিপক্ষের’ ভালো লাগেনি।

বিজ্ঞাপন

ইশরাক হোসেন আরও বলেন, ‘আজকে দুপুরে স্বৈরাচারের দোসর নগর ভবনের দুর্নীতিবাজ কতিপয়ের নেতৃত্বে বহিরাগত ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আসে। তারা আমার নামে স্লোগান দিয়ে আমার হয়ে এতদিন যারা আন্দোলন করেছে, তাদের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করেছে।’

তিনি জানান, হামলায় তিন জন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং ৮-১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ইশরাক হোসেন বলেন, ‘এই হামলার মাধ্যমে হামলাকারীরা এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করেছে। প্রথমত, তারা বিএনপির নামে ও তার নামে স্লোগান দিয়ে হামলা করে জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে এটি বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ। দ্বিতীয়ত, জনগণের সেবা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটিয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে এর দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছে।’ তিনি দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘এই হামলার মূল হোতা নগর ভবনের কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া রুবেল এবং কর্মচারী আরিফুজ্জামান প্রিন্স। এই দুজন ‘স্বৈরাচারের দোসর’ হিসেবে পরিচিত এবং সাঈদ খোকন ও তাপসের মেয়র থাকাকালীন সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছে।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, রুবেল বর্তমান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার গাড়িতে চলাচল করত এবং নগর ভবনে থাকাকালীন বিভিন্ন দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজিতে জড়িত ছিল। নতুন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে যারা বিভিন্ন সরকারি অফিসে টেন্ডারবাজি করছে, তাদের সঙ্গে রুবেল ভাগাভাগি করে নিজের অবস্থান ঠিক রেখেছে বলে ইশরাক উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রিন্স ও রুবেলকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার যোগসাজশ বেরিয়ে আসবে।”

সারাবাংলা/এসএসআর/এইচআই

ইশরাক হোসেন ঢাকা মেডিকেল নগর ভবনে সংঘর্ষ