ঢাকা: রাজধানীতে শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনের রাস্তায় অস্ত্রের আঘাতে অমিত হাসান (২২) নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাত সাড়ে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৫ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান তিনি।
নিহতের ছোট বোন সানজিদা আক্তার জানান, তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। বাবার নাম মৃত দুলাল মিয়া। বর্তমানে রাজধানীর কলেজগেট এলাকায় থাকেন তিনি।
তিনি আরও জানান, গতরাত ৩টার দিকে এক মেয়ে বান্ধবীর সঙ্গে অমিত গিয়েছিল সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনের রাস্তায় খিচুড়ি খেতে। এর কিছুক্ষণ পর ওই মেয়েটি তাদের বাসায় এসে খবর দেয়, অমিতকে সেখানে কয়েকজন মিলে মারধর ও কুপিয়ে আহত করেছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা সেখানে গিয়ে অমিতকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। সেখান থেকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
তবে কারা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে সে বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানাতে পারেনি ছোট বোন সানজিদা।
শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল হক জানান, গতরাতে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে একটি মারামারির ঘটনায় ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে অমিত নামে ওই যুবক। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে মারা যায়। নিহত অমিতের নামে বেশ কিছু মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনার বিস্তার জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে কলেজ মর্গে রয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্ত করা হবে।