ঢাকা: চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির অর্থ বাবদ ১৩৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার ছাড় করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে এ অর্থ যোগ হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ সময় রাতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আইএমএফ-এর প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণ কর্মসূচির আওতায় তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যালোচনার (রিভিউ) প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং তা অনুমোদন করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, আইএমএফ’র দুই কিস্তির অর্থ যোগ হওয়ায় মঙ্গলবার (২৪ জুন) দিন শেষে দেশে সার্বিকভাবে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৩১ কোটি ডলার। তবে আইএমএফ’র হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২৪ কোটি ডলার।
এদিকে দাতাগোষ্ঠীর অর্থ ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো থাকায়ও রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ছে। গত মাসে (মে ২০২৫) দেশে প্রায় ২৯৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
সূত্র মতে, মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করা হয় না। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।
সে হিসাবে বর্তমানে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার বলে জানা যায়।
প্রতি মাসে সাড়ে ৫০০ কোটি ডলার হিসাবে এ ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়।