ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে সরবরাহব্যবস্থা বিঘ্নিত না হওয়ায় বাজার এখনও বহু-সপ্তাহের নিম্নমাত্রায় অবস্থান করছে।
বুধবার (২৫ জুন) আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি (প্রায় ১৫৯ লিটার) ৮৫ সেন্ট বা ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ দশমিক ৯৯ ডলারে। একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড তেলের দাম বেড়েছে ৮৭ সেন্ট বা ১ দশমিক ৪ শতাংশ, যা বর্তমানে ৬৫ দশমিক ২৪ ডলার প্রতি ব্যারেল।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) এই দুই ধরনের তেলই গত কয়েক সপ্তাহের সর্বনিম্ন দামে লেনদেন হয়েছিল যার মধ্যে ব্রেন্ট ১০ জুনের পর এবং ডব্লিউটিআই ৫ জুনের পর সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল। ১৩ জুন ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার পর দাম কিছুটা বেড়েছিল, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর তা পৌঁছে যায় পাঁচ মাসের সর্বোচ্চে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইরান ও ইসরায়েল দু’পক্ষই ইঙ্গিত দিয়েছে যে, অন্তত আপাতত বিমান হামলার পর্যায় শেষ হয়েছে। ১২ দিনের যুদ্ধ শেষে যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে হামলা চালায়।
বিশ্বজুড়ে দৈনিক ব্যবহৃত প্রায় ২০ শতাংশ জ্বালানি এবং অপরিশোধিত তেল হরমুজ প্রণালী দিয়ে পরিবহন হয়, যা ইরান ও ওমানের মধ্যবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ। যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি জড়িত হওয়া এই প্রণালীর নিরাপত্তা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছিল।
এদিকে, আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট (এপিআই) জানিয়েছে, ২০ জুন শেষ হওয়া সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের মজুদ ৪ দশমিক ২৩ মিলিয়ন ব্যারেল কমে গেছে, যা দেশটির অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সরবরাহ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়িয়েছে।