ঢাকা: আদালত অবমাননার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আইনজীবী আমিনুল গণি টিটুকে সরিয়ে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার পরিবর্তে নিয়োগ পেয়েছেন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী আমির হোসেন।
বুধবার (২৫ জুন) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ সিদ্ধান্ত নেন।
এদিন আদালত অবমাননা মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে ট্রাইব্যুনাল আসেন আমিনুল গণি। তবে আইনিভাবে লড়তে চাইলেও তাকে সরিয়ে দেন আদালত।
এ সময় নিজের মক্কেলকে রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত বলে আদালতকে জানান আমিনুল গণি। তখন ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘এরইমধ্যে আমরা কিছু নেতিবাচক তথ্য পেয়েছি। আপনি কি এখনও চালিয়ে যেতে চান?’
পরে নিজেকে পেশাদারভাবে নিরপেক্ষ থাকার কথা উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনালকে এই আইনজীবী বলেন, ‘আমি আমার মক্কেলকে রক্ষা করবো’।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘এক সময় আপনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন। তাই প্রশ্ন উঠেছে আপনি সত্যিই নিরপেক্ষভাবে তাকে রক্ষা করতে পারবেন কিনা।’
জবাবে আমিনুল বলেন, ‘আমাকে ট্রাইব্যুনালই নিয়োগ দিয়েছেন। আমি একজন সৎ আইনজীবী। নিজেকে প্রমাণ করার একটি সুযোগ প্রয়োজন।’
ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘আমাদের কাছে ন্যায়বিচারের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে আপনার এই মামলায় দাঁড়ানো উচিত নয়। আমরা আপনার সম্পর্কে জানি। ভবিষ্যতে আপনার প্রয়োজন হবে।’
আদালতের কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম বলেন, আদালত অবমাননার মামলার শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল। এ মামলায় অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এওয়াই মশিউজ্জামান ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। প্রস্তুতির জন্য তিনি এক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন। আদালত তা মঞ্জুর করে আগামী ২ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন।
তিনি বলেন, এ মামলায় শেখ হাসিনা ও বুলবুলের পক্ষে নিয়োগ পাওয়া আইনজীবী আমিনুল গণিও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু একটি ইস্যু জানতে পেরে নিজেকে প্রত্যাহারের আবেদন করেন। পরে তাকে প্রত্যাহার করে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে আইনজীবী আমির হোসেনকে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল।