ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে ঘিরে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আপত্তিকর মন্তব্য করায় তাকে নগরবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সম্প্রতি বলেছেন, এই আন্দোলনের জন্য কুমিল্লার বিএনপির এক নেতা প্ররোচনা দিয়েছেন। এই আন্দোলনে নাকি ঐ নেতা অর্থ, লজিস্টিক দিয়েছেন, সেটার প্রমাণ আছে আসিফ মাহমুদের কাছে। এই প্রমাণ তিনি জাতির সামনে তুলে ধরবেন, অন্যথায় ক্ষমা চাইবেন।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ইশরাক বলেন, আসিফ মাহমুদ আরও বলেছেন- বিএনপির এক নেতার ইন্ধনে এই আন্দোলন করা হয়েছে। এই বক্তব্যের মাধ্যমে ভোটারদের অপমানিত করা হয়েছে। এই একটি বাক্যের মাধ্যমে নাগরিকদের পশুর মর্যাদায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ জন্য তাকে নাগরিকদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আসিফ বলেছেন ‘আমাকে মিসগাইড করা হয়েছে।’ এরমাধ্যমে আমাকে অপমানিত করা হয়েছে, যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, জনগণের যেসব গুরুত্বপুর্ণ সেবা বিঘ্নিত হচ্ছিল সেসব সকল করতে আমার অনুরোধে ২৩ জুন নগর ভবন কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হয়েছে। এটার সঙ্গে আন্দোলনের দাবি, সরকারের চাপ ও ভীতির কোনো সম্পর্ক নাই। বরং সরকার আইন আদালতকে পরোয়া না করে দিনের পর দিন জনদুর্ভোগ তৈরি করে রাখে। এই দুর্ভোগ নিরসনে আমরা সবাইকে নিয়ে সকল জরুরি সেবা চালু রাখি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আন্দোলন সচল রাখার জন্য সেবা প্রার্থীদের কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে সীমিত পরিসরে একটি নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট স্থানে আন্দোলনকারীরা প্রতীকী কর্মসুচি পালন করে যাবে। তবে আন্দোলনকারীদের বিষয়ে কোনো প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হলে আন্দোলন নগর ভবন পেরিয়ে রাজপথে গড়াবে।
নগর ভবনে মঙ্গলবার (২৪ জুন) সংঘর্ষের বিষয়ে তিনি বলেন, হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ হিসেবে কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে। এরা কেউ কেউ নিজেদের বিএনপি ঘরানার পরিচয় দিলেও তারা দলের কোনো পদে নেই। তাদের মূলহোতা, গতকালকে আন্দোলনকারীদের হত্যার চেষ্টা করা গোলাম কিবরিয়া রুবেলের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে রয়েছে। আসিফ মাহমুদ দায়িত্ব নেওয়ার পর রুবেল তার লুটপাটের হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।